স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার সোনাতলায় হেলাল হোসেন সুজন(১৭) নামের এক যুবক গলায়ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিজ বাড়িতে শয়নঘরের তীরের সাথে রশি বেধে সুজন আত্মহত্যা করে। সে উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের পূর্ব-মধুপুর গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা হেলিনা বেগমের একমাত্র ছেলে। মা জীবিকার তাগিদে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরি করেন। ঘটনার সময় মা ঢাকাতেই ছিলেন।
জানা যায়,গত ১৭ বছর আগে হেলিনা বেগমের গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর গ্রামে তোজাম্মেল হোসেন এর সাথে বিয়ে হয়েছিল। সেখানে স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় তিনমাস বয়সের ছেলে হেলাল হোসেন সুজনকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে এবং স্বামী তোজাম্মেলকে ডিভোর্স দেন। ডিভোর্সের পর থেকেই তোজাম্মেল ছেলের কোন খোঁজখবর নেননি। সেই থেকে সুজন তার মায়ের কাছেই বড় হয়। একপর্যায়ে মা জীবিকার তাগিদে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরি নেন। সুজন তার নানীর সাথে বাড়িতে থাকতো।
মৃতের মামা রেজাউল ইসলাম জানান,প্রতিদিনের ন্যয় ভাগ্নে হেলাল হোসেন ২৩মে দিবাগত রাতে খাবার খেয়ে তার নিজঘরে শুয়ে পড়ে। পরেরদিন আজ(শনিবার) সকালে গ্রামের ফরিদুল ইসলাম নামের এক যুবক হেলালকে সাথেনিয়ে কাজে যাওয়ার জন্য ডাকতে আসে।
অনেকবার ডাকাডাকি করে হেলালের কোন সারা শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে দেখতে পান হেলাল ঘরের তীরের সাথে রশিতে ঝুলছে। তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে ঝুলন্ত হেলালকে নামান এবং হাসপাতালে নেয়ার সময় উপস্থিত লোকজন দেখেন তার মৃত্যু হয়েছে। ওই মুহূর্তে রেজাউল ইসলাম আত্মহত্যার সঠিক কারণ বলতে পারেননি। তবে হেলাল নেশাগ্রস্থ এবং তার পেটের ব্যাথা ছিলো।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশ মৃতের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জানান, আত্মহত্যায় মৃত হেলাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছিলেন।
এ ব্যাপারে সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ মিলাদুন নবী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আত্মহত্যার ব্যাপারে কাহারো কোন অভিযোগ না থাকায় লাশের দাফন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।
Leave a Reply