আব্দুর রাজ্জাক, স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলায় দিগদাইড় ইউনিয়ন নুরপুর গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তা জরিনা বেগম (৪৫) নামে এ মহিলা গাছের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে সবার অজান্তে নিজের বাড়ির পাশে আমগাছের সাথে গলায় দড়ি আত্মহত্যা করে।
১৯ সেপ্টেম্বর সকালে স্থানীয়দের নজরে আসলে থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দড়ি থেকে নামিয়ে প্রাথমিক সুরতহাল করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দির্ঘদীন আগে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রামে হেলাল সরকারের সাথে বিবাহ হয়। ঘরসংসার চলাকালে একটি পুত্র সন্তান হয়। এরপর স্বামী হেলাল তাকে রেখে লাপাত্তা হয়। ছেলে নাহিদ হাসান কে নিয়ে অন্যর বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে বাবার বাড়ি নুরপুর গ্রামে। ১০ বছর পর স্বামী হেলাল সরকার ফিরে আসে সেখানে। দেরবছর থাকার পর অন্য একজন মেয়েকে বিবাহ করে আবারো অন্যত্র চলে যায়।
পরবর্তীতে ছেলে বগুড়া শহরের রহমান নগরে মসজিদে ইমামতি করায় সেখানে বাসা ভাড়া করে মা ছেলে বসবাস করতে থাকে। কিছু টাকা জমিয়ে বাবার বাড়ির পাশে ৪শতাংশ জমি ক্রয় করে। গত তিনদিন আগে জরিনা বেগম বগুড়া থেকে বাবার বাড়ি সোনাতলা নুরপুর গ্রামে বেড়াতে আসে। ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে সবার অজান্তে ক্রয়কৃত জমির পাশে জঙ্গলে আম গাছের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই খোরশেদ আলম জানান, তাদের পরিবার ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়রা বলেন জরিনা বেগম মানুষিক ভারসাম্যহীন ছিন। সেকারনে এঘটনা ঘটিয়েছে।
Leave a Reply