সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলায় মামলার জামিনে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হত্যার চেষ্টায় রাতের আঁধারে ঘরে পেট্রোল ঢালিয়ে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলো মুক্তযোদ্ধার পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে ৭ আগষ্ট সোমবার দিবাগত রাত অনুঃ আড়াইটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রানীর পাড়া গ্রামে।
এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের লোকজন জানান, গত ৪ আগষ্ট শুক্রবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রানীর পাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম খানের বীর নিবাস নির্মাণ কাজে বাধা স্থাপনা উচ্ছেদ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ওইদিন রাতেই বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম খান বাদি হয়ে জুলকার নাঈম রুমেলকে প্রধান আসামি করে ৮জন নামীয় ও অজ্ঞাত ১৫/২০জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ৭ আগষ্ট সোমবার প্রতিপক্ষ আসামি জুলকার নাঈম রুমেল সহ সকলেই বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসে। এরপর ওইদিন রাতে তারা ক্ষইপ্ত হয়ে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির আসপাশে ঘুরাফেরা করে। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম খান ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার খেয়ে তাদের শয়ন ঘরে ঘুমিয়ে পরে। অন্যদিকে হঠাৎ করেই রাত অনুঃ আড়াইটার দিকে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের লোকজন তাদের ঘরে আগুন দেখে ভয়ে আতংকিত হয়ে পরে এবং জীবন রক্ষার্থে তারা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এতে করে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম খানের পরিবারের সদস্যরা। প্রতিপক্ষরা যে ঘরে আগুন লাগিয়েছে সেই ঘরে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম খানের ছেলে, মেয়ে ও বোন ছিল বলে জানান তারা।
এঘটনায় সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মৌখিকভাবে বিষয়টি সোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে আগুন লাগার কারন জানতে অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ৪ আগষ্ট শুক্রবার সোনাতলায় জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম খানের বীর নিবাস নির্মাণে বাঁধা স্থাপনা উচ্ছেদ লুটপাটের অভিযোগে ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম খান জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। পরে ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম খান বাদি হয়ে রাতে জুলকার নাঈম রুমেলকে মূল আসামিসহ ৮জন নামীয় ও অজ্ঞাত ১৫/২০জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply