স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে আব্দুর রশিদ নামের এক হতদরিদ্র দিনমজুরের পা রাম-দা’র চোটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে প্রতিপক্ষরা। বর্তমানে আব্দুর রশিদ বগুড়া সজিমেক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা নরছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের গ্রাম করমজা গ্রামে গত ০৬ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক পৌনে ৮ টায়। আব্দুর রশিদ ঐ গ্রামের মৃত গাদলু প্রামানিক এর ছেলে। এ ঘটনায় রশিদের ভাই বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ৬ জনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ওই দিনই এক আসামী কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
মামলার সুত্রে জানা যায় আব্দুর রশিদ ৬ ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল আনুমানিক পৌনে ৮ টার দিকে কাজের জন্য বাড়ী থেকে বের হয়। এ সময় পূর্ব থেকে প্রতিপক্ষের একই গ্রামের মৃত টুকু প্রামানিক এর ছেলে রঞ্জু মিয়া ও মুঞ্জু মিয়া, মৃত মোনছের আলীর ছেলে হাফিজার রহমান, মৃত টুকু প্রামানিক এর ছেলে আলমগীর হোসেন, আজিজার রহমান এর ছেলে বাবুল প্রামানিক ও মহিদুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার হোসেন রাস্তার পাশে ওৎ পেথে থাকে। আব্দুর রশিদকে দেখা মাত্র তারা হাতে তারা রাম-দা’, হাসুয়া, লোহার রড ও লাঠিসোডা নিয়ে রশিদকে ধাওয়া করে। রশিদ নিজেকে বাঁচানোর জন্য দৌড় দেয়। প্রতিপক্ষরাও পিছন পিছন দৌড়ে একই গ্রামের আব্দুল খালেক এর দোকানে পাশ্বে ঝাপটে ধরে রশিদকে রাস্তার উপর ফেলে দিয়ে বেধরক মারপিট সহ রাম-দা’র চোটে বাম পা শরীর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে। এ সময় রশিদ এর চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে এলে প্রতিপক্ষরা হুঙ্ককার মেরে চলে যায়। মুমূর্ষ অবস্থায় রশিদ কে উদ্ধার করে এলাকাবাসী বগুড়া সজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
এ ব্যাপারে গ্রামবাসীরা এ নিশংশ ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়ার জোর দাবী জানান। এ ব্যাপারে থানায় দায়ের কৃত মামলার তদন্তে থাকা এসআই মাহমুদুল হাসান জানান ঘটনার দিনই মামলার আসামী বাবুল প্রামানিককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply