স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় শিক্ষক শিক্ষকের দ্বন্দ্বে অচল হতে বসেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা। এতে শিক্ষার্থী কমছে বিদ্যালয়টিতে। ঘটনাটি উপজেলার তেকানীচুকাইনগর ইউনিয়নে ৫০নং সরকারী শরলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্থানীয়রা জানায়, বেশ কয়েক মাস ধরে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাছরিন সুলতানার সাথে সহকারী শিক্ষিকা ছামছুন নাহারের দ্বন্দ্ব চলে আসছে।এক পর্যায়ে দ্বন্দ্বটি প্রকোপ আকার ধারন করে হাতাহাতিতে গড়ায়। দুই শিক্ষিকার দ্বন্দ্বের কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত কমেগেছে। তবে বিদ্যালয়ে গেলে ৩য় ৪র্থ ও ৫ম শ্রেনীতে ১৭জন শিক্ষার্থীর উপস্থিত পাওয়া যায়। ওই স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোঃ রিহান বাবু সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (মাডাম) প্রায় সময়েই আমাদেরকে অপমানজনক কথা বলেন। পেন্সিল, সাবান চাইলেও দেন না এবং মাডামের অপমানজনক কথার কারণে অনেকেই স্কুলে আসা ছেড়ে দিয়েছে।
দ্বন্দ্বের বিষয়ে সহকারী শিক্ষিকা সামছুন নাহার বলেন, গত দেড় মাস আগে প্রচন্ড শীতের কারণে স্কুলের সময়সুচির পরিবর্তন ঘটে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানলেও আমাকে জানাননি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি রাগান্বিত হয়ে আমাকে কলম দিয়ে আঘাত করেন। প্রতিকার চেয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাছরিন সুলতানা বলেন, সহকারী শিক্ষক প্রায় সময়েই আযথা কিছু বিষয় নিয়ে ঝামেলা করে। আঘাতের বিষয় স্বীকার করে বলেন, দুজনেরই দোষ আছে। তবে ইউএনও মহোদয় এটি মিমাংসা করে দেবে। শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন আচরণ করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দেননি। শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তেকানীচুকাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, দু'শিক্ষিকার দ্বন্দ্ব চেষ্টা করেও মিটাতে পারিনি। তবে এর প্রভাব পড়েছে শিক্ষার্থীদের উপর। সরলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি কমিটির সভাপতি মোছাঃ রুনা লায়লা বলেন, এবিষয়ে আমি শিক্ষকদের নিয়ে বসলেও মিমাংসায় কেউ আসেনা। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা এগুলো নিয়ে কিছু লিখবেন না বলে ফোন রেখে দেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনায়েতুর রশিদ জানান, সরলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু শিক্ষকের দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানি। তবে মিমাংসা করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আসফার সায়মা বলেন, সরলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা দরখাস্ত করেছেন। তবে বিষয়টি মীমাংসাসহ শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দুজনকে নিয়েই বসবো।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com