স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের কর্পূরহাট বারোয়ারি দূর্গা মন্দির নামের ধর্মীয় উপাসনালয় যেকোনো মুহূর্তে পাশ্ববর্তী দুজন জমির মালিক ইটের প্রাচির নির্মাণ করে অবরুদ্ধ করতে পারে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এরা মন্দিরের মুল দরজার সামনে সীমানা পিলারও পুঁতে রেখেছে। জমির মালিক নতুন ভবন নির্মাণ কালীন সময়ে জমি মাপযোগের গেরাকলে ফেলে পেশীশক্তির প্রয়োগ করে উপাসনালয়টি অবরুদ্ধ করার চেষ্টায় মেতে উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এর ফলে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মতো ঘটনা। এ সংক্রান্ত সোনাতলা থানায় দূর্গামন্দির কমিটির সভাপতি মনোরঞ্জন সাহা বাদি হয়ে এবং বাজার এলাকার মৃত ফজলু খানের ছেলে চিকিৎসক মোঃ শুভ খান, মোঃ সৈয়দজামান মিয়া সহ কাঠ ব্যবসায়ী খাজা মিয়াকে বিবাদী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
কর্পূর বারোয়ারি দূর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি মনোরঞ্জন সাহা বলেন, তেতাল্লিশ বছর ধরে এই মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা শারদীয় দুর্গাপূজা হয়তবা আর আগামীতে করা সম্ভব হবে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন এই মন্দিরে হয়তবা আর কোনোদিন শোনা যাবেনা ঢাক ও কাসীর আওয়াজ, ভক্তবৃন্দের ঘটবে না আগমন। মন্দিরটি রিতিমত অবরুদ্ধ করে ফেলেছে দুজন প্রভাবশালী জমির মালিক এর প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)প্রতিক মন্ডলকে জানানো হলে তিনি তাৎক্ষণিক ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা(নায়েব)কে খতিয়ে দেখতে বলেন।
দিগদাইড় ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় ও মন্দির কমিটির লোকজনদেরকে সাথে নিয়ে আলোচনায় বসেছি আশা করছি বিষয়টি সমাধান হতে পারে ।
থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আক্কাস আলী বলেন, মন্দির কমিটির সভাপতির মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মন্দির কমিটির সভাপতি মনোরঞ্জন সাহা। তবে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com