স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার সোনাতলায় গ্রামের পল্লীতে নিয়ে নাম্বার বিহীন একটি ট্রাকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আলাদা করছিলেন দুইমিস্ত্রি। বিষয়টি দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ট্রাকের যন্ত্রাংশ আলাদা করার সময় কিছু যন্ত্রাংশসহ দুইমিস্ত্রিকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের কোয়ালিকান্দি গ্রামে ২১মে(বুধবার) সকালে। আটককৃতারা হলেন, সোনাতলার কোয়ালিকান্দি গ্রামের মো.অরেছ আলীর ছেলে মো.রায়হান(২৮) ও বগড়ার চারমাথা ঝোপগাড়ী এলাকার মো.টুকু মিয়ার ছেলে মো. রাশেদ (২৫)। তারা দু’জনই বগুড়া চারমাথার ‘ভাই ভাই’ ওয়ার্কশপ এর মিস্ত্রি।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কোয়ালিকান্দি গ্রামে রাতের আঁধারে গত কয়েকদিন আগে একটি নাম্বার বিহীন ট্রাক এনে মিস্ত্রি রায়হান তার বাড়ির পাশে কাঁচারাস্তার উপর রাখে। গত দুইদিন ধরে রায়হান ও আরেক মিস্ত্রি রাশেদকে নিয়ে ওই ট্রাকের যন্ত্রাংশ আলাদা করছিল। সংবাদ পেয়ে সোনাতলা থানা উপ-পুলিশ পরিদর্শক আক্কাস আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে, এরকম অজোপাড়া গ্রামের কাঁচা রাস্তায় এনে ট্রাকের যন্ত্রাংশ আলাদা করার কারণ জিজ্ঞাসা করেন মিস্ত্রিদেরকে। মিস্ত্রিরা পুলিশের কথার কোনো সদত্তর দিতে পারেনি এবং ট্রাকের বা ট্রাকটি ক্রয়ের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পুলিশ তাদেরকে আটক করে।
এ ব্যাপারে আটককৃত মিস্ত্রি রায়হান বলেন যে, ট্রাকের কাগজপত্র তার ওয়ার্কসপের মালিক মো.মুন্না’র নিকট রয়েছে।
এ ব্যাপারে মুন্নার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ট্রাকের বৈধ কাগজপত্র থানা পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন। সে পুলিশকে জানিয়েছেন, ট্রাকটি সে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মো.শাহিন নামের এক ব্যক্তির নিকট থেকে আড়াইলক্ষ টাকায় ক্রয় করেছেন। কিছু টাকা বাকি থাকায় ট্রাকটি ক্রয়ের কাগজপত্র নিতে পারিনি। পুলিশ ট্রাক ক্রয়ের কাগজপত্র সহ বিক্রেতা শাহিনকে থানায় হাজির করার কথা বলেছে। এ সময় পুলিশ আমার সঙ্গে থাকা মো.রবিন নামের এক মিস্ত্রিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ মিলাদুন নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ট্রাক ক্রয়ের বৈধ কাগজপত্রসহ বিক্রেতাকে নিয়ে থানায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ব্যর্থ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply