আব্দুর রাজ্জাক সোনাতলাঃ বগুড়ার সোনাতলায় জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম খানের বীর নিবাস নির্মাণে বাঁধা স্থাপনা উচ্ছেদ লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা । ঘটনাটি ঘটেছে ৪জুলাই শুক্রবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রানীর পাড়া গ্রামে। এঘটনায় ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম খান জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দেন । পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। পরে ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম খান বাদি হয়ে রাতে জুলকার নাঈম রুমেলকে মূল আসামিসহ ৮জন নামীয় ও অজ্ঞাত ১৫/২০জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে ও ভুক্তভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম খান জানান, রানীরপাড়া গ্রামের মৃত আঃ লতিফ মন্ডলের ছেলে মোঃ জুলকার নাঈম রুমেলের সহিত পূর্ব হইতে জমি জমা এবং সরকারী বরাদ্দ বীর নিবাসের নির্মাণ কাজকে কেন্দ্র করে বিরোধসহ মনোমালিন্য চলে আসছে। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন সময় নির্মান কাজে বাধাসহ ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসতে থাকে। এরই একপর্যায়ে ৪জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার সময় উপরোক্ত বর্নিত আসামীরা বে-আইনী ভাবে দলবদ্ধ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাদের হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, হাসুয়া, ধারালো ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার নামীয় বীর নিবাস নির্মাণ কাজে হামলা চালায়। ১নং আসামির নির্দেশে তার লোকজন প্রথমে বীর নিবাসের সাইনবোর্ডসহ ১৫ বান্ডিল টিনের বাউন্ডারী ভাংচুর করে তাদের বাড়ীতে নিয়ে যায়। যার অনুমান মূল্য ৭হাজার ৫শত টাকা এছাড়াও ১টি মটর টিউবওয়েলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র যার অনুমান ৪৫ হাজার টাকা মূল্যে। এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার নামীয় বীর নিবাসের নির্মাণ সামগ্রী অসৎ উদ্দেশ্যে লুটতারাজ করে নিয়ে যায়। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম খান তাদেরকে বাঁধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী আচরণ করে। তিনি ডাকচিৎকার করলে তাকে রক্ষা করার জন্য তার স্ত্রী মোছাঃ রেজিয়া আক্তার খানম ও মেয়ে
মোছাঃ শামিমা নাছরিন আগায়ে আসলে তাহাদেরকে ধাক্কা ধাক্কিসহ পড়নের কাপড় টানাহেচড়া করে শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটায়। একপর্যায়ে তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুকুমী দিলে তারা প্রাণ রক্ষার্থে সেখান থেকে দূরে অবস্থান করে।
এঘটনায় প্রতিপক্ষের সায়েস্তা নুর রবিন বলেন, ওই জমির উপর আদালত থেকে ইনজেকশন জারি করা আছে যা এখনও চলমান আছে। কোন কিছু সঠিক ভাবে না জেনে মন্তব্য করা ঠিক না। এখানে মুক্তিযুদ্ধা নাম ব্যবহার করে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জমি দখল করার চেষ্টা হচ্ছে। ভাংচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাহিরে থাকেন বলে জানান, এঘটনাবাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এব্যপারে থানা অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসানের সাথে কথা বললে, তিনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com