স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া সোনাতলা উপজেলাধীন তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের পূর্ব তেকানী গ্রামের সহজ সরল চাকরীপ্রার্থী প্রতারণার স্বীকার হয়ে বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরিতেছে। প্রতারক মোঃ শাহ আলম নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান বগুড়া বিভাগ এইচডিইডি ভবন মালতিনগর বগুড়া অফিসে অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকুরী করে। প্রতারণার স্বীকার হয়ে চাকরীপ্রার্থী যুবক বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর থানার বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চেক স্ট্যাম্প উদ্ধারের মামলা আনয়ন করিয়াছেন। অসহায় চাকুরীপ্রার্থী প্রতারকের বিরুদ্ধে বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও চিত্রঃ
প্রকৃত বিবরণ এই যে, আপনি শরিফুল ইসলাম সুজন, আপনার পিতা মোঃ শাহ আলম নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের স্ব পরিবার কল্যান বগুড়া বিভাগ এইচডিইডি ভবন মালতিনগর বগুড়া অফিসে অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকুরী করা অবস্থায় নোটিশ প্রেরক এর নিকট আত্মীয় মোঃ মিনারুল ইসলাম কারারক্ষী পদে বগুড়া জেলা কারাগারে চাকুরী করা অবস্থায় শাহ আলম সহিত পরিচয় হয় এবং মিনারুল ইসলামের গ্রাম ও শাহ আলমের গ্রাম পাশাপাশি হওয়ায় তাহাদের মধ্যে সুসম্পর্ক হয়। প্রায় মাঝে মধ্যে শাহ আলম জেলা কারাগারে ১ নং আরপি গেটে আসিয়া মিনারুল এর সহিত দেখা করিত এবং শাহ আলম কারারক্ষী মিনারুলকে বলে যে, তাহার আপন চাচা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মহাপরিচালক পদে চাকুরী করেন এবং ২৭ জন লোককে চাকুরী দিয়াছেন। পাশাপাশি তৎকালীন সময়ে শরিফুল ইসলাম সুজনের বড় মামা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সা: সাধারন সম্পাদক পদে ছিলেন বলে তাহাদের অনেক ক্ষমতা রয়েছে এবং সুজনের পিতাও আওয়ামীলীগের ভালো একজন কর্মী। তখন নোটিশ প্রেরক মোঃ শরিফুল ইসলাম, পিতা: মোঃ আব্দুর রাজ্জাক‘কে ২নং বিবাদী মোঃ শাহ আলম এর সহিত পরিচয় করিয়া দেয়। ২নং বিবাদী শাহ আলম বলে যে, মৎস অধিদপ্তর অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকুরী দিতে পারিবে মৌখিক অঙ্গীকার করেন। চাকুরী নিতে হইলে ১২,০০,০০০/-(বার লক্ষ) টাকা দিতে হইবে। নোটিশ প্রেরক মোঃ শরিফুল ইসলাম নিকট হইতে গত ২৩/০১/২০২৪ তারিখে ১,৫৫,০০০/-(এক লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার) টাকা ও গত ইং ০৫/০২/২০২৪ তারিখে ২,০৫,০০০/-(দুই লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকা ও গত ২৪/০৬/২০২৪ ইং তারিখে ৩,০০,০০০/-(তিন লক্ষ) একুনে মোট ৬,৬০,০০০/- (ছয় লক্ষ ষাট হাজার) টাকা নোটিশ প্রেরক শরিফুল ইসলাম ও অন্যান্য বন্ধু-বান্ধব স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে কারারক্ষী মিনারুল ইসলামের কর্মস্থলে বিবাদী শরিফুল ইসলাম সুজন ও শাহ আলম আসিয়া আমি বাদী মোঃ শরিফুল ইসলাম, পিতা: আঃ রাজ্জাক এর নিকট হইতে ৬,৬০,০০০/- (ছয় লক্ষ ষাট হাজার) টাকা ও বাকী টাকার জামানত হিসেবে আমার স্বাক্ষরিত ২টি ফাঁকা চেক যথাক্রমে ইসলামী ব্যাংক সোনাতলা শাখার হিসাব নং-১১৩৪, চেক নং-MSS 8905568, MSS 8905567, আমার স্বাক্ষরিত ১০০ টাকার মূল্যমানের ৩টি নন-জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্প নোটিশ প্রেরকের নিকট হইতে অন্যান্য স্বাক্ষীগণ ও কারারক্ষী মিনারুল এর উপস্থিতিতে শরিফুল ইসলাম (সুজন) ও শাহ আলমকে দেই এবং নগদ টাকা, চেক ও স্ট্যাম্প লইয়া বিবাদীগণ ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়। পরে মৎস্য অধিদপ্তরের আমি মোঃ শরিফুল ইসলাম মৎস্য অধিদপ্তরে অফিস সহকারী পদের জন্য লিখিত পরিক্ষা দেই। পরিক্ষায় অকৃতকার্য হই। পরে আমি মোঃ শরিফুল ইসলাম ও মোঃ মিনারুল ইসলাম-সহ গত ইং ২১/১১/২০২৪ তারিখে বিবাদী মোঃ শাহ আলমের কর্মস্থলে মিনারুলের উপস্থিতিতে শরিফুল ইসলাম (সুজন) ও শাহ আলম অফিসে দেখা হয়। তখন আমি শরিফুল ইসলাম তাদেরকে বলি যে, আমার চাকুরী হইল না আমার দেওয়া ৬,৬০,০০০/- (ছয় লক্ষ ষাট হাজার) টাকা ও ইসলামী ব্যাংক লিঃ সোনাতলা শাখার হিসাব নং-১১৩৪ এর ২টি স্বাক্ষরিত ফাকা চেক ও ১০০ টাকার তিনটি ফাঁকা ষ্ট্যাম্প ফেরত চাহিলে শরিফুল ইসলাম সুজন ও শাহ আলম কয়েকদিন সময় নেন বলিয়া বিভিন্ন তালবাহানা ও বিভিন্ন অজুহাত কালক্ষেপন করিতে থাকে। পরে শাহ আলম কারারক্ষী মিনারুল কে ফোন করিয়া বলে আপনার একটি একাউন্ট নম্বর শাহ আলম এর ছেলে শরিফুল ইসলাম সুজনের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায়ে দেন। পরে কারারক্ষী মিনারুল ইসলাম সোনালী ব্যাংক এর এ্যাকাউন্ট নম্বরটি মোঃ শাহ আলম এর পুত্র শরিফুল ইসলাম সুজনের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেয়। কিছু সময় পরে কারারক্ষী মিনারুল ইসলাম মোবাইলে এসএমএস আসে। সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখায় একাউন্টে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা জমা হইয়াছে। অতঃপর আমি বাদী শরিফুল ইসলাম ৫,৬০,০০০/- টাকা পাওনা থাকি। গত ইং ০৮/০১/২০২৫ তারিখে আমি শরিফুল ইসলাম এবং কারারক্ষী মিনারুল ইসলামের কর্মস্থলে আসি। তখন মিনারুল ইসলাম শরিফুল ইসলাম সুজন ও শাহ আলমকে ফোন করিয়া মিনারুলের কর্মস্থলে অর্থাৎ জেলা কারাগারের ১ নং আরপি গেটে আসতে বলে। কিছু সময় পরে শরিফুল ইসলাম সুজন ও শাহ আলম কিছু মাস্তান টাইপ এর লোক নিয়া জেলা কারাগারের ১ নং আরপি গেটে আসে। আমি বাদী মোঃ শরিফুল ইসলাম আমার দেওয়া ইসলামী ব্যাংক লিঃ সোনাতলা শাখার ২টি স্বাক্ষরিত ফাকা চেক ও স্বাক্ষরিত ফাকা ৩টি স্ট্যাম্প ও নগদ অবশিষ্ট ৫,৬০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ ষাট হাজার) টাকা ফেরত চাহিলে শরিফুল ইসলাম সুজন ও শাহ আলম এককালীন ফেরত দিতে অস্বীকার করিয়াছেন। পরে আমি সকলের পরামর্শে কারারক্ষী মিনারুলের মাধ্যমে নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় বগুড়া বিভাগ এইচইডি ভবন মালতিনগর বগুড়া মোঃ শাহ আলম এর অফিসে একটি দরখাস্ত দেই। ২টি ফাকা চেক ও স্বাক্ষরিত ফাকা ৩টি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও নগদ অবশিষ্ট টাকা ফেরত দিতে বিবাদী কর্তৃক বিভিন্ন তাল বাহানা করাবস্থায় গত ইং ২২/০১/২০২৫ তারিখে আপনার স্বাক্ষরিত লিগ্যাল নোটিশ আমি ২৪/০১/২০২৫ তারিখে প্রাপ্ত হই। অত্র লিগ্যাল নোটিশ পাওয়া মাত্রই আমি বিজ্ঞ উকিলের স্মরনাপন্ন হই এবং নগদ টাকা, ফাকা চেক ও ফাকা স্ট্যাম্প উদ্ধারের ব্যাপারে পরামর্শ গ্রহণ করি। লিগ্যাল নোটিশ প্রেরক এডভোকেট ও বিবাদীগণ শরিফল ইসলাম সুজন ও শাহ আলমকে আমি আমার উকিল দ্বারা লিগ্যাল নোটিশের জবাব দিই। এমত:বস্থায় আপনি আমার বরাবর স্বাক্ষরিত ২টি ফাকা চেক, আমার স্বাক্ষরিত ফাকা ১০০ টাকা মূল্যের তিনটি নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্প, আমার দেওয়া নগদ অবশিষ্ট ৫,৬০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ ষাট হাজার) টাকা আমার নিকট ফেরৎ দিবেন। প্রকাশ থাকে যে, বিবাদীগণ শরিফুল ইসলাম সুজন ও শাহ আলম এর বিরুদ্ধে আমি ২টি মোকর্দ্দমা দায়ের করিয়াছি। যাহার নম্বর ৪৩০ সি/২৫ (সদর), ১১৩ পি/২০২৫ (সদর)। প্রতারক মোঃ শাহ আলম যেহেতু সরকারী চাকুরী করে চালাকী করিয়া তাহার পুত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম সুজনকে দিয়া মিথ্যা লিগ্যাল নোটিশ পাঠাইয়াছে। বিবাদী শরিফুল ইসলাম সুজন ও মোঃ শাহ আলম‘কে আইনের আওতায় এনে প্রতারণা করার উপযুক্ত বিচার করত: আমাকে সুবিচার প্রদান করিতে আমি আপনাদের স্মরণাপন
Leave a Reply