আব্দুর রাজ্জাক, সোনাতলাঃ বগুড়ার সোনাতলায় ছাগল লাউ গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী কর্তৃক মারামারির ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা চয়নসহ উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়ে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন।
আহতরা হলেন, মিলনের পাড়া গ্রামের মোফাজ্জল আকন্দের ছেলে মিনারুল ছোট ছেলে মিজানুর। অপর পক্ষের একই গ্রামের বুলবুলের স্ত্রী রেবা বেগম, ছেলে রাকিব ও রাব্বি। এদের মধ্যে তৃতীয় পক্ষ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাছির উদ্দিন চয়ন সরকার একই গ্রামের মৃত আব্দুল বারী সরকারের ছেলে। ৮ নভেম্বর বুধবার সকাল নয়টায় উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের মিলনের পাড়া গ্রামে বাড়ির উঠানে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ও সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, তোজাম্মেল সরকারের ছেলে বুলবুলের ছাগল একই গ্রামের মোফাজ্জল আকন্দের ছেলে মিনারুলের লাউ গাছ ক্ষেতে গেলে মিনারুলের মা মনোয়ারা বেগম ছাগল তাড়িয়ে দিয়ে বুলবুলকে উদ্দেশ্য করে উচ্চস্বরে কথাবার্তা বলেন। এতে বুলবুলের স্ত্রী রেবা বেগম তার কথার জবাব দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ৬জন আহত হন।
এঘটনায় বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নাট্য বিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দিন চয়ন সরকার বলেন, আমি প্রতিদিনের ন্যায় ওই বাড়ির পাশে শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিতে ছিলাম। হঠাৎ চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শুনতে পাই। দৌড়ে গিয়ে দেখি বুল বুল সরকারের পরিবারের লোকজন ও মিনারুলের পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলেছে। আমি উভয়পক্ষের মধ্যে মারপিট করতে নিষেধ করি। এতে বুল বুল ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে যায় এবং ৫টি সেলাই হয়। আমি এধরনের কর্মকাণ্ডকে ঘৃণা করি, তীব্র নিন্দা জানাই।
এরিপোর্ট লেখা অবদি উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈকত এর সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি উভয় পক্ষের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি তবে তাদের বলেছি চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে গেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com