আব্দুর রাজ্জাক, স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রাণ হারালো তুহিন বাদশা নামে এক যুবক।
নিহত তুহিন উপজেলার মহব্বতের পাড়ার বিল্লাল হোসেন এর ছেলে। তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল ২টা ১০ মিনিটে মৃত্যু বরন করেন।
এ সময় বগুড়া সদর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। বর্তমানে লাশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে রয়েছে।
জানা যায়, গত ৮ই সেপ্টেম্বর বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়ন বালিয়াডাঙ্গা অবদার বাধ চারমাথায় গোলজার আকন্দের চায়ের দোকানের সামনে চা খাওয়ার জন্য বসে তুহিন। চা খাওয়ার একপর্যায়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিত ভাবে বালিয়াডাঙ্গা গ্ৰামের ইছার ফকিরের ছেলে শিপন মিয়াসহ তাদের লোকজন মিলে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, সাইকেল এর ধারালো ক্রাং, ধারালো ছুরি সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তুহিনকে কুপিয়ে যখম করে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শজিমেক কতৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তাহার অবস্থার আরো অবনতি হওয়াই তাকে আইসিইউতে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। পরবর্তীতে মহাখালী মেট্রোপলিটন মেডিকেল সেন্টারে আইসিইউতে ভর্তি করেন। একপর্যায়ে অর্থের অভাবে খরচ বহন না করতে ফারায় রিলিজ দিলে ১৩ই সেপ্টেম্বর অসহায় পরিবার তুহিনকে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতাল এনে আইসিইউতে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় তুহিনের ফিতা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর থানায় এজাহার দায়ের করেন। সোনাতলা থানার মামলা নং-০৪।
এবিষয়ে সোনাতলা থানার দায়িত্বরত অফিসার এসআই খোরশেদ আলম জানান, মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মামলার প্রয়োজন নাই। মারপিটের মামলাটি হত্যা হয়ে যাবে। গ্রেপ্তার নাই তবে দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply