আব্দুর রাজ্জাক, সোনাতলাঃ বগুড়ার সোনাতলায় ঈশিতা ক্লিনিকে ডেলিভারী শেষে আয়া কর্তৃক বাচ্চা দত্তক নিতে গিয়ে পিতৃ পরিচয় নিয়ে টানাহেঁচড়াসহ দর কষাকষির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১১জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে পৌর এলাকার গড়ফতেপুর গ্রামে। এঘটনায় ওই ক্লিনিকের দায়িত্বরত সেবিকা বিনু খাতুন জানান, সকাল ৯টার সময় বালুয়া ইউনিয়নে এক প্রবাসীর স্ত্রীর ডেলিভারির জন্য ক্লিনিকে ভর্তি হয়। মহিলার গর্ভে অবৈধ সন্তান তাই আমি দ্রুত নরমাল ডেলিভারী করি এবং ছেলে সন্তান হয়। পরবর্তীতে ওই মহিলার পরিবারের লোকজন বাচ্চাকে দত্তক দেওয়ার কথা বলে। তখন আমি আমাকে আগে থেকেই বলে রাখা সেই ব্যক্তির আত্মীয়র বাড়ি আমার বাড়ির পাশে। মহিলার দুলাভাই মুক্তার হোসেনসহ বাচ্চাটিকে নিয়ে দ্রুত সেখানে যাই। তেকানী চুকাই নগর গ্রামের দত্তক নিতে আগ্রহী শাহজাহান নামে হুজুর তার স্ত্রী সহ ফোন পেয়ে দ্রুত তার আত্মীয়র বাসা গড়ফতেপুর গ্রামে আসে। সেখানে মহিলার দুলাভাই মুক্তার হোসেন বাচ্চার মা অসুস্থ চিকিৎসা করাতে হবে মর্মে টাকা দাবি করে। দর কষাকষির এক পর্যায়ে শাহজাহান বলে আমাকে অল্প টাকায় না দিলে আমি মানুষ জনকে জানাজানি করবো যেহেতু অবৈধ বাচ্চা। আশপাশের লোকজন জানাজানি হলে তারা বাচ্চা চুরি করে বিক্রি করতে আসছে বলে থানা পুলিশকে খবর দেয়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের দুলাভাই মুক্তার ও শাহজান (ক্রেতা এবং বিক্রেতা)কে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য থানায় আটক রাখে। পরবর্তীতে পুলিশ বাচ্চার মাকে আসতে বলে। বাচ্চার মা আসলে বাচ্চাকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়। এসময় বাচ্চার দাদা,দাদি ও নানা নানি অনেকে উপস্থিত ছিলেন। পরে জিজ্ঞাসা বাদে আটককৃত ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান থানা অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসান।
Leave a Reply