স্টাফ রিপোর্টারঃ জমি-জমা সংক্রান্ত জেরে বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক ফুল মিয়া কর্তৃক বাগানের সুপারী গাছ কাটার অভিযোগ তুলেছেন ছোট ভাই ছকু। ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পূর্ব ভেলুর পাড়া গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে সুপারী বাগানে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম ছকু (৫৩) বাদী হয়ে বড় ভাই ফুল মিয়াসহ ৩জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে ও সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব ভেলুরপাড়া গ্রামের মৃত মিছির উদ্দিন বড় ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ফুল মিয়া ও ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম ছকুর মধ্যে জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
এক পর্যায়ে বড় ভাই ফুল মিয়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর-২৪ তারিখে বগুড়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই বোনসহ ছোট ভাই ছকুকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার জের ধরে উভয়ের মধ্যে প্রতিনিয়ত দ্বন্দ্ব চলে আসছে।
এরই এক পর্যায়ে ২৮ অক্টোবর রাতে বাড়ি সাথে সদ্য লাগলো ১৮ টি সুপারীগাছ কর্তন করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করেন শফিকুল ইসলাম ছকু তার তফসীল ভুক্ত সম্পত্তি ও কবলা কৃত সম্পত্তিতে সুপারী গাছ লাগায়। তাদের তফসীল ভুক্ত ও কবলাকৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর দখলের পায়তারা করে আসছে প্রতিপক্ষ বড় ভাই ফুল মিয়া। একপর্যায়ে ২৮ তারিখ দিবাগত রাতে প্রতিপক্ষরা ছকুর কবলা ও পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর দখল করার উদ্দেশ্যে জমিতে লাগানো ৭২টি সুপারী গাছের মধ্যে ১৮টি সুপারী গাছ কাটিয়ে ফেলে। যা আনুমানিক ৫ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করে উক্ত বিষয়ে প্রতিপক্ষকে বলতে গেলে তারা ছকু ও তার পরিবারের উপর চড়াও হয়ে মারমুখি আচারণ করে। এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। ওই জমিতে পুনরায় গাছ লাগাতে গেলে তাহারা পুনরায় গাছ কেটে ফেলাসহ মারপিট ও খুন জখম করবে এবং বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করার হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ ফুল মিয়া বলেন, ৩০ বছর ধরে জমির সীমানা নির্ধারণ করে ভোগ দঘল করে খাচ্ছি। আজ তাঁরা জমির সীমানা অন্য দিকে করে দিয়েছে। তাই আমি আদালতে মামলা করছি। আর গাছ কাটার বিষয়ে আমাকে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে । রাতে কেবা কাহারা গাছ কাটছে সেটা আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ মিলাদুন নবী বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply