আব্দুর রাজ্জাক, স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় ব্রীজের মুখে ইটের দেয়াল দেওয়ায় ২০বিঘা ফসলি জমিতে চাষ করতে পারছেনা কৃষক । এঘটনায় পরিত্রাণ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেছে কৃষকরা।
জানাযায়, তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে শালিখা থেকে তেকানী চুকাইনগর রাস্তায় সামছুলের চাতালে নিকট ব্রীজে নিচে অবৈধ ভাবে দেওয়াল তোলায় পানি পারাপারে বাধা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। এ ব্যপারে ভুক্তভোগিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি আবেদন করে।
উক্ত আবেদনের অনুলিপি দেন উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে। উক্ত আবেদনে তারা উল্লেখ করেন যে, ব্রীজ সংশ্লিষ্ট চাতালের মালিক সামছুল ব্যপারী প্রভাব খাটিয়ে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে ব্রীজের নিচে ইটের দেওয়াল তুলে উভয় পাশের পানি যাতায়াতে বাধা প্রদান করে তার নিজের পুকুরে মাছ চাষ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তোকানী চুকাইনগর হতে সোনাতলা ভায়া গজারিয়া সড়কের অভিযুক্ত সামছুলের চাতাল সংশ্লিষ্ট ব্রীজটির নিচে ইটের দেওয়াল তুলে দেওয়ার কারনে উভয় পাশের পানি প্রবাহে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ব্রীজটি দক্ষিণ পাশে একটি বিল আছে। যা উত্তরের জমিগুলো চেয়ে নিচু। বর্ষার কারনে উচু জমির পানি ওই ব্রীজ দিয়ে নিষ্কাশন হয়ে দক্ষিনের বিলে যায়।
কিন্তু দেওয়াল থাকার কারনে পানি বাধাগ্রস্ত হয়ে সামছুলের পুকুরসহ তার চেয়ে উচু জমিতে পানি থাকে। তাতে সামছুল ব্যপারী মাছের চাষ করে। অপরদিকে পুকুরের চেয়ে উচু জমিগুলো পানিতে নিমজ্জিত থাকার কারনে মৌসমী চাষাবাদ না করতে পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকেরা।
অভিযুক্ত সামছুল ব্যপারী বলেন, আমার পুকুরে মাছ চাষ করার জন্য প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর আগে ওই প্রাচীর আমি দিয়েছি। কিন্তু ব্রীজের নিচে একটি ফুটো আছে ওটা দিয়ে দক্ষিণের বিলে পানি যায়। দেওয়াল অপসানের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার যাযয়গায় আমি দেওয়াল দিয়েছি সেটা ভাঙ্গার প্রশ্নই আসেনা।
ভুক্তভোগী মুশফিকুর রহমান বলেন, এখানে ব্রীজের নিচে অবৈধভাবে পানি নিষ্কাশনের বাধা দেওয়ার কারনে আমাদের জমিতে পানি থাকে। আর পানি থাকলে আমরা চাষাবাদ করতে পারিনা। সামছুল ব্যপারীকে অনেকবার বলার পরেও ওই দেওয়াল ভেঙ্গে দেয়নি।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল হক বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বলেছি অতিদ্রুত যেন এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, কৃত্রিমভাবে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে কৃষি জমির ক্ষতি করা যাবেনা। ভুক্তভোগিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামানিক বলেন, তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়াম্যানকে দেওয়াল অপসারনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com