স্টাফ রিপোর্টাব: বগুড়ার সোনালতায় মসজিদে নামে ওয়াক্বফ করা জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক মুসুল্লির বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে মসজিদ কমিটি ও মুসুল্লিরা। সমাধান না হলে জমি উদ্ধারে ২০২২ সালে আদালতে মামলা দায়ের করেছে তৎকালীন মসজিদ কমিটি।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আটকরিয়া (চকপাড়া) গ্রামে বায়তুল আমান জামে মসজিদের জমি নিয়ে। আর অভিযুক্ত মুসুল্লি হলেন মো. মোতাব্বর বেপারী।
জানা যায়, উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আটকরিয়া(চকপাড়া) গ্রামে মো.রেজাউল করিম এর স্ত্রী তহমিনা বেগম দুই শতাংশ,মৃত সাদেক আলীর স্ত্রী ফুলবি বেগম দুই শতাংশ ও তার ছেলে রফিকুল ইসলাম অর্ধশতাংশ জমি ওয়াক্বফ করে দিলে ওই জমির উপর নির্মিত হয় বায়তুল আনাম জামে মসজিদ। কিন্তু মসজিদের সামনে মুসুল্লিদের যাতায়াতের জায়গা না থাকায় তহমিনা বেগম আরো চার শতাংশ জমি ওই মসজিদের নামে ওয়াক্বফ করে দেন। এদিকে ওই জমি দখলে ছিলো মোতাব্বর বেপারীর। এরপর মসজিদ কমিটি ও মুসুল্লিরা মোতাব্বরকে মসজিদের জমি ছেড়ে দিতে বললে, মোতাব্বর ওই জমি তার নিজের বলে দাবী করে। বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটি মুসুল্লিদের নিয়ে শালিসি বৈঠক করে ব্যর্থ হন। এরপর মসজিদ কমিটি রেজুলেশন করে কমিটির তৎকালীন সেক্রেটারী মো. শফিকুল ইসলামকে মসজিদের জমি উদ্ধারে আদালতে মামলা দায়ের করার দায়িত্ব প্রদান করে। পরে শফিকুল বাদী হয়ে ইসলাম আদালতে মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম জানান, মোতাব্বর ও তার কয়েকজম আত্মীয় স্বজনসহ কিছু মুসুল্লি মোতাব্বর প্রামানিকের পক্ষ নেয় এবং নতুনভাবে মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন করে। এই কমিটির সেক্রেটারী শাহজাহান আলী সরাসরি মোতাব্বের পক্ষ নিয়ে বিভিন্নভাবে চক্রান্ত শুরু করে। এমতাবস্থায় শফিকুল ইসলাম ২৯-০৮২৫ইং তারিখ শুক্রবার জুম্মা নামাজ অন্তে বর্তমান কমিটি ও মুসুল্লিদের নিকট মসজিদের জমি উদ্ধারে আদালতে মামলার বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। তখন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও মুসুল্লিরা মামলার বাদীকে সকল প্রকার সহযোগিতা করার আশ্বাশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে মোতাব্বর প্রানিক বলেন, যেহেতু এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে সেহেতু মামলার রায়ে যেটা হবে সেইটা আমি মাতা পেতে নেব।
Leave a Reply