সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলা থানার ওসি সৈকত হাসান ও এসআই মাহমুদুল হাসান এর বিরুদ্ধে ডিআইজি পি'স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টার বরাবর অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার চরপাড়া এলাকায় এক মাদক কারবারীর ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকৃত প্রধান আসামির নামের জায়গা থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন করে দুই শিক্ষার্থী ও এক সাধারণ ব্যক্তির নাম বসিয়ে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। সোনাতলা থানার এস আই মাহমুদুল হাসান ও ওসি সৈকত হাসানের বিরুদ্ধে।
৭জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীদের ভাই শাহিন আলম ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টার আইজিপি কমপ্লেইন মনিটরিং সেল বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মে রাত ৮টার সময় টিকটক ভিডিওতে 'হাহা' রিয়্যাক্টকে কেন্দ্র করে সোনাতলার চরপাড়া এলাকায় মনজুর রহমান মানিক (৪১)নামে এক মাদক কারবারীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ২৬মে একই এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে মিলন মিয়া (৪০),বেলাল হোসেন (৩৫),ও মিলন মিয়ার ছেলে সৈকত মিয়া (২০) ও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে কে আসামি করে সোনাতলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী। পরবর্তীতে ৫জুন সোনাতলা থানা পুলিশ বাদীপক্ষের কাছে থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে প্রধান আসামির তালিকায় দুই শিক্ষার্থী ও একজন সাধারণ ব্যক্তির নাম যুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগীর ভাই শাহিন আলম জানান,তার ছোট ভাই সাকিরুল ইসলাম টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজের একজন শিক্ষার্থী এবং ওই মেডিক্যালে শিক্ষানবিস হিসেবে কর্মরত। ঘটনার দিনও তিনি মেডিক্যালে কর্মরত ছিলেন। মামলার ১ নং আসামি সৌরভ মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে সরকারি আজিজুল হক কলেজের ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত।
এলাকাবাসী জানায়,যেই তিনজনকে প্রধান আসামি দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে দু'জনই শিক্ষার্থী,অন্যজন এক শিক্ষার্থীর বাবা।তারা সবাই 'মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি'র সদস্য। আর মামলার বাদি মনজুর ওরফে মানিকের নামে থানায় রয়েছে বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগ।
এদিকে সম্প্রতি সোনাতলা থানায় তথ্য সংগ্রহে গিয়ে একজন সাংবাদিক থানার একজন অফিসারের নিকট কটুক্তির স্বীকার হয়েছেন। যদিও তার কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সোনাতলা থানার এসআই (উপপরিদর্শক) মাহমুদুল হাসান বলেন, আদালতে স্বাক্ষী দেওয়ার জন্য এসেছি। পরে কথা বলব।
এ ব্যাপারে সোনাতলা থানার ওসি সৈকত হাসান বলেন, কেউ মামলা দায়ের করতে আসলে তাকে ফিরে দেওয়া যায়না। আসামীদের মধ্যে কেউ নির্দোষ হলে তদন্ত করে তাকে চার্জসিটে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
শিবগঞ্জ ও সোনাতলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তানভির হাসান বলেন, অফিসিয়াল কোনও চিঠি হাতে পাইনি। পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com