স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার সোনাতলায় পাকুল্যা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে আহত যুবদল নেতা রাশেদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এঘটনায় ওই এলাকায় থমথমা বিরাজ করছে।
আহত যুবদল নেতা রাশেদুল হাসান (২৭) সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য। তিনি ৭দিন যাবৎ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।

রাশেদ পাকুল্যা গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি জিয়া সাইবার ফোর্স বগুড়া জেলা শাখার সহ সভাপতি ও সোনাতলা উপজেলা সাইবার ফোর্স এর সভাপতি এবং পাকুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য।

স্থানীয় লোকজন জানান, পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে এলাকাবাসী তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান বাটালু, আরেক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী হাসান নারুন এবং অপর গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন জেলা জামায়েত ইসলামী শিবিরের সাবেক সভাপতি মাজেদুর রহমান জুয়েল।

অপর দিকে শিক্ষার্থীরাও প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত এক মাস ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারী জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান জুয়েল তার গ্রামের মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করে বেশকিছু সফর সঙ্গী নিয়ে গ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খেয়ে বগুড়া চলে যায়। ওই সফরে যুবদল নেতা রাশেদ হাসানও ছিলো।

সন্ধ্যায় যুবদল নেতা রাশেদ মোটরসাইকেলযোগে পাকুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের সামন দিয়ে যাওয়ার সময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাটালুর নেতৃত্বে তাঁর লোকজন ধাওয়া করে। রাশেদ মোটরসাইকেল ফেলে রেখে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেই তারা পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

৭দিন যাবৎ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানার এসআই মোঃ জাহিদুল ইসলাম মৃত ব্যক্তির সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান বাটালুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

জেলা জামায়েত ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মাজেদুর রহমান জুয়েলকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করলে ব্যাস্ত পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলাদুন্নবী বলেন, পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক দিন ধরে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই জের ধরেই রাশেদ নামের একজনকে মারধর করা হয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। যেহেতু মারা গেছে এখন মামলা হবে।

মৃত্যুর খবর শুনে স্থানীয় জনতা আজ শুক্রবার সন্ধার পর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাটালুর বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে।