আব্দুর রাজ্জাক, সোনাতলাঃ বগুড়ার সোনাতলায় বাংলাদেশ রেলওয়ে জলাশয় উন্মুক্ত টেন্ডারের নামে লুকোচুরি খেলছে। ১২ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিঃ বাংলাদেশ রেলওয়ে, লালমনিরহাট বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার কার্যালয় হতে ৫৪.০১.৫২৫৫,৩৯৩,০৬,০১৩.২০ (খন্ড-৪)-২০১ নং- স্মারকে নিলামের সময়সূচি নিম্নরুপ ছিল।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন ০.৫০ একর পর্যন্ত ১৭৮ টি জলাশয়ের তালিকা সংযুক্ত বাংলা ১৪৩০-১৪৩২ সন পর্যন্ত ০৩ (তিন) বছর মেয়াদে প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে অস্থায়ী লাইসেন্স প্রদান করা হবে উল্লেখ থাকে।
নীতিমালায় আরও উল্লেখ থাকে সর্বোচ্চ ডাককারী সরকারি পাওনাদি যথাসময়ে পরিশোধ না করলে প্রদানকৃত জামানত বাজেয়াপ্ত হবে এবং নিলাম ডাক বাতিল বলে গণ্য হবে। নিলামের সকল শর্তাবলি লাইসেন্স গ্রহীতার সহিত সম্পাদিত চুক্তির অংশ হিসেবে গণ্য হবে। ১০ মে ২০২৩ইং তারিখ বুধবার জলাশয়ের অস্থায়ী লাইসেন্স প্রদানের জন্য নিলামের সময়সূচি অনুযায়ী প্রকাশ্য নিলামের সময়সূচি ১ম পর্যায় ১৭নং ক্রমিকে সংশ্লিষ্ট ষ্টেশন সোনাতলা বেলা ২টা ৩০মিনিটে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা চোখে পরেনি। সেখানে আরও উল্লেখ ছিল যে কোন ব্যক্তি জলাশয়ের অস্থায়ী লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এরকম এক আগ্রহ প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি সকাল থেকে দিনব্যাপি ওই ষ্টেশনে উপস্থিত থাকার পরেও রেলওয়ে জলাশয় উন্মুক্ত টেন্ডার দেখতে না পাওয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সকালে রেল কর্মকর্তারকে দেখলাম প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে অস্থায়ী লাইসেন্স প্রদানের একজন। তিনি বলেন আমি এই নিলাম কাজে আসিনি। অন্যকাজে আসছিলাম। অথচ্য ১০মে বেলা ২টা ৩০ মিনিট সময় উল্লেখ করে রেলওয়ে স্টেশনের দেয়ালে বিজ্ঞপ্তি লাগানো হয়েছে। বাস্তবে তার কোন মিল নাই, অনিয়মের কোন শেষ নাই।
এ বিষয়ে গত বছরের প্রকাশ্য নিলামের সর্বোচ্চ ডাকদাতা সোহেলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা গত বছরে নিলামে সর্বোচ্চ ডাক দেই। যাহা ৩ বছরের জন্য ১লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। যার মধ্যে আমরা ১ লক্ষ ২৭ৎহাজার টাকা জমা দেই, বাকী টাকা সময়ের মধ্যে দিতে না পারায় পূনরায় রি-টেন্ডার দেয় অফিস। যেহেতু আমাদের টাকা জমা আছে আমরাও আগ্রাহী প্রার্থী সেক্ষেত্রে অফিস এক বছরের এক তৃতীয়াংশ টাকা কর্তন করে ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা পুনরায় জমা দিয়ে আগামী তিন বছরের জন্য জলাশয়টি আমাদেরকে দেয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের জেলা বগুড়া ফিল্ড কানুনগো অফিসের আমিন আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমি সোনাতলা রেল ষ্টেশন জলাশয় প্রকাশ্য নিলামে আসেনি। আমি শালমারা ষ্টেশনে ডাকের কাজে এসেছি। আপনি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে, বগুড়া ফিল্ড কানুনগো গোলাম নবী বলেন, সোনাতলা ষ্টেশন ও শালমারা দুটো জলাশয় উন্মুক্ত টেন্ডারের কাজেই আমিন আব্দুর রাজ্জাককে পাঠানো হয়েছে। সে যদি জলাশয় উন্মুক্ত টেন্ডারের কাজ না করে তবে সেটা ঠিক করেননি। এখনও সোনাতলা ষ্টেশন টেন্ডার সংক্রান্ত কোন কাগজ অফিসে জমা হয়নি।
এবিষয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার পূর্নেন্দু দেব এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply