আব্দুর রাজ্জাক, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলায় পৌর এলাকায় আগুনিয়াতাইড় মৌজায় লিজকৃত জলাশয় লাল ফ্লাগ বসিয়ে আসাদুজ্জামান এবং রাশেদুজ্জামানকে বুঝে দিলেন রেলওয়ে সার্ভেয়ার, জিআরপি পুলিশ ও সোনাতলা থানা পুলিশ। ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে রেলওয়ে বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (পশ্চিম) 'র সার্ভেয়ার আব্দুর রাজ্জাক মাপযোগ করে লাল ফ্লাগ বসিয়ে লিজকৃত জলাশয় দুটি বুঝে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে স্টেশন নিরাপত্তা বাহিনী বোনারপাড়া ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স , নায়েব দিলিপ কর্মকার, সোনাতলা থানা এসআই ইমরানসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
উল্লেখ্য উপজেলার পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আগুনিয়াতাইড় মৌজার বাংলাদেশ রেলওয়ে জলাশয় বাংলা ১৪২৭-১৪২৯ সাল পর্যন্ত দুইটি পুকুর টেন্ডারের মাধ্যমে আসাদুজ্জামান এবং অপরটি রাশেদুজ্জামান (তাদের দুইজনের বসতবাড়ি সংলগ্ন) যাবতীয় লাইসেন্স ফি পরিশোধ করে বিগত তিন বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছিলো।
ভোগদখল করা অবস্থায় রেলওয়ে জলাশয় দুইটি তাদের বসতবাড়ি এবং জায়গা জমি সংলগ্ন বিধায় বাংলাদেশ রেলওয়ে-২৯ ধারা নীতিমালা অনুযায়ী পুনরায় এককালীন লাইসেন্স পাওয়ার জন্য রেলওয়ে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার(পশ্চিম) নিকট আবেদন করেন। আবেদনকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের বসতবাড়ি এবং জায়গা জমি সংলগ্ন কি-না রেলওয়ে এস্টেট বিভাগ হতে ফিল্ড কানুনগো/ আমিন ৩ ও ৪ কাচারি অফিস, বাংলাদেশ রেলওয়ে, বগুড়ার মাধ্যমে একটি তদন্ত করা হয়। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় জমির যাবতীয় কাগজপত্র(দলিল, খাজনা পরিশোধের রশিদ-খারিজ অর্থাৎ নামজারি কাগজ, নকশা) আবেদনকারীদ্বয়কে জমা দিতে হয়। তৎপ্রেক্ষিতে জনাব পূর্ণেন্দু দেব, রেলওয়ে বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা(পশ্চিম) তাদের কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে সত্যতা পাওয়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ে নীতিমালা ২৯ ধারা অনুযায়ী অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পুকুর দুইটি পুনরায় তাদের অনুকূলে লাইসেন্স প্রদান করার জন্য চীফ এস্টেট অফিসার, বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা, রাজশাহী বরাবর আবেদন প্রেরণ করেন।
অতঃপর সংশ্লিষ্ট দপ্তর পুনরায় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সত্যতা পাওয়ায় এবং জলাশয় দুইটি বহিরাগত অন্য কাউকে লাইসেন্স প্রদান করা হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার আকাঙ্খায় পুনরায় আবেদনকারীর অনুকূলে বাংলাদেশ রেলওয়ে নীতিমালা ২৯ ধারার বিধান অনুযায়ী নবায়নযোগ্য হিসেবে আবেদন কারীদ্বয়দের অনুকূল এককালীন লাইসেন্স অনুমোদন প্রদান করেন। পরবর্তীতে আবেদনকারীদ্বয় চীফের অনুমোদন/ আদেশের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজস্বখাতে চালানের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে নির্ধারিত লাইসেন্স ফি শতকরা ২৫℅ অতিরিক্ত লাইসেন্স (ফি) ব্যাংকে জমা প্রদান করে আগামী ১বছরের জন্য ভোগদখল করতে পারবে তারা।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com