স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলায় সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে মামলা ও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বুড়াবুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জুয়েল আকন্দ ও বহিস্কৃত পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও মাদক মামলার আসামী মমিনুল ইসলাম। শনিবার ১ জুন রাতে তিনি সোনাতলার রেলস্টেশনের স্থানীয় এক চায়ের দোকানে এসে তারা সাংবাদিককের অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মামলার হুমকি দেন।
শিক্ষক জুয়েল আকন্দ এসে মারমূখী আচরণ করে বলেন, 'আমি সোনাতলার এক প্রভাবশালীর ভাগ্নি জামাই। আপনাদের সাহস কি করে হয় আমার বিরুদ্ধে নিউজ করার। আপনারা কি পুলিশের চেয়ে বড়? চেয়ারম্যানের চেয়েও বড়। কোন সাহসে নিউজ করেন। আপনাদের বিরুদ্ধে আমি মামলা করবো। আরেকবার শুধু স্কুলে আসেন, আপনাদেরকে দেখে নিবো'।
তার সাথে থাকা বহিস্কৃত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও মাদক মামলার আসামী মমিনুল ইসলাম বলেন, 'এসআই জুলহাস ভাই মিউচুয়াল করে দিয়েছে এই বিষয়ে। আপনারা নিউজ ডিলেট করেন। শান্তকে (ডেইলি বাংলাদেশের প্রতিবেদক) বলেন নিউজ ডিলেট করতে। নিউজ ডিলেট না করলে সমস্যা হবে'।
নিউজ ডিলেট করতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি, সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লীটনের কথা বলে বলেন, 'তাকে ফোন দেন। তিনি নিউজ ডিলেট করতে বলেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লীটন বলেন, 'মোমিনের সাথে আমার কোন কথা বা দেখা হয়নি। আমার রেফারেন্সে কোন কথা বলে থাকলে সেটা মিথ্যা। এ ধরনের কথার তো প্রশ্নই আসেনা। ও কিছুদিন আগে নেশা জাতীয় ট্যাবলেটসহ পুলিশের কাছে ধরা খাওয়ার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপর থেকে দলের সঙ্গে ওর কোন সম্পর্ক নেই'।
এ বিষয়ে দৈনিক আমার সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক ও ডেইলি বাংলাদেশ এবং দৈনিক মানবকন্ঠের প্রতিবেদক সাজেদুর আবেদীন শান্ত বলেন, 'আমরা এ হুমকির বিষয়ে খুব দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেবো'।
সোনাতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমরান হোসেন লিখন বলেন, 'সাংবাদিকদের সাথে এরকম আচারণ করায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ঘটনায় সোনাতলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে অবগতসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা বলবো'।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com