আব্দুর রাজ্জাক, স্টাফ রিপোর্টারঃ আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর বগুড়ার সোনাতলায় হত্যা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় ৫টি মামলায় সাবেক এমপি সাহাদারা মান্নান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জান লীটন এবং সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন সজলসহ ৩৩৬জন নেতাকর্মীর আসামি। ৫টি মামলায় ৩৩৬ আসামিরা এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর দিগদাইড় ইউনিয়নের শিহিপুর সরকার পতনের আনন্দ মিছিলে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। ওই মিছিলে থাকা সুখানপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল বিভাগের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র সাব্বির ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে। পরে গাবতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা শাহিন আলম বাদি হয়ে ১৬ আগষ্ট বৃহষ্পতিবার রাতে সাবেক এমপিসহ সাহাদারা মান্নান তার পুত্র ও ভাইসহ ২০ জন এবং আরও ২০/৩০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে।
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাকুল ইসলাম রাজ্জাক বাদী হয়ে ২২ আগষ্ট বৃহষ্পতিবার রাতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবীন আনোয়ার কমরেডসহ ৬৭ জন নামীয় ২০/৩০জন অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করে। থানার দক্ষিণপার্শে¦ ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান‘ছ’ মিলে বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে অনধিকার প্রবেশ করে অগ্নিসংযোগ গুলি এবং ৭ লক্ষ ৪২ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে মর্মে এজহারে উল্লেখ করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বুলুর ছেলে শামীনুর ইসলাম শামীম বাদি হয়ে ২৩ আগষ্ট শুক্রবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করেন বাদির দোকান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট, ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগ করেছে। উক্ত ঘটনায় সাবেক এমপি সাহাদারা মান্নান শিল্পী ও আওয়ামী নেতকর্মীসহ ৮২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। তিনি দোকান ও বাড়ির আসবাবপত্র, টিভি ও অন্যান্য মামালামাল সহ ৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকার ক্ষতি উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করেন।
রশিনাবাড়ি গ্রামের মৃত মালেক উদ্দিনের ছেলে নাছির উদ্দিন ২৬ আগষ্ট এ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটনকে প্রধান আসামী করে অন্যান্য নেতাকর্মীসহ ৭৫ জনের নামে থানায় একটি মারপিট ও ছিনাতাই ও ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষতি উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে।
পৌর সদরের রংধনু মার্কেটের সামনে ভোজনশালা রেষ্টুরেন্টে ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং ৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ক্ষতি উল্লেখ করে নামাজখালী গ্রামের কুরানু ঘোষের ছেলে বিকাশ ঘোষ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মেজবাউল হক জুলু, কাউন্সিলর আবু বক্কর সিদ্দিক খাঁন রবিউল ও নিপুণ আনোয়ার কাজলসহ ৯২ জন নেতাকর্মী আসামি করে এজাহার দায়ের করে।
সোনাতলা থানার ওসি বাবু কুমার সাহা হত্যা, ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, নাশকতাসহ ৫টি মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com