স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার রাতে সোনাতলা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তিন দিনেও কোন আসামীকের গ্রেফতার করতে পারেনি সোনাতলা থানা পুলিশ। তবে, এই ব্যপারে সচেতন মহলে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। মামলা দায়ের হওয়ার ৩ দিনেও কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় সোনাতলা থানা পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছে সোনাতলাবাসী। আবার থানার সক্ষমতার ব্যপারও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে জানান কেউ কেউ।
গত ৩ ডিসেম্বর রাতে যৌথ বাহিনী কর্তৃক সোনাতলা পৌরসভার সাবেক মেয়রে বাসায় ৫ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে দেশিয় অত্রসহ গ্রেফতার করে সোনাতলা থানায় আটক রাখে। ৪ ডিসেম্বর থানার সামনে মেয়রকে দেখার জন্য স্থানীয় লোকজন ভীড় করলে সংবাদ সংগ্রহেরে জন্য সাংবাদিক আঃ রাজ্জাক ও সবুজ থানায় গেলে। তাদের মারপিট করে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাকের দায়ের করা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন্নবী। মামলায় কয়েকজনের জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামী গ্রেফতারের ব্যপারে নিরব ভূমিকা পালন করছে সোনাতলা থানা পুলিশ। মামলার বাদী ডেইলি বাংলাদেশ পত্রিকার সোনাতলা উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সোনাতলা পৌরসভার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর গ্রেফতারকৃত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গির আলম নান্নুকে সোনাতলা থানায় দেখতে তার শুভাকাঙ্খী-জনতা ভিড় করে। থানা মসজিদের সামনে রাস্তার উপর এসময় তাদের ছবি তোলার সাংবাদিক আব্দুর রজ্জাক ও সাংবাদিক সবুজ পকেট থেকে বের করে মোবাইল হাতে নেয়। এমন সময় জনতাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাত একজন ছবি তুলতে নিষেধ করেন। ওই সময় সোনাতলা সিঙ্গার শোরুমের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম শাহীন ছুটে এসে ধমক দিয়ে বলে এখানে কি হয়েছে। সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক বলে আমার সহকর্মী সবুজ ছবি তোলার জন্য মোবাইলের ক্যামেরা বাহির করেছে। তখন শাহিন আবারও ধমক দিয়ে বলেন, এখানে কোন ছবি তোলা যাবে না। তখন সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক তার সহকর্মী সবুজকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় সকল আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে এগিয়ে এসে রাস্তা আটকে বলে, তুই মেয়রের গ্রেফতারের নিউজ করছিস কেন? এ কথা বলে পিছন থেকে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আসামিরা সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাককে মারপিট করে মাটিতে ফেলে তার ব্যবহৃত ফোন ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা আসামিদের হাত থেকে রাজ্জাক ও সবুজকে হামলাকারীদের কবল থেকে রক্ষা করে। এ সময় আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা।
মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আমরা হামলার শিকার হয়েছি। আমাদের মারধরের পাশাপাশি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। এখনো মোবাইল ফোন ফেরত দেয়নি। মামলা দায়ের করা কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। আসামীরা থানার সামনে দিয়ে বীর দর্পে চলাফেরা করছে। এটা কিসের ইঙ্গিত?
এ বিষয়ে সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন্নবী বলেন, আসামীদের কাউকে পাওয়া যাচ্ছেনা। সবাই পলাতক। তবে গ্রেফতারের জোড় চেষ্টা চলেছে
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com