আব্দুর রাজ্জাক সোনাতলাঃ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের পূর্ব করমজা গ্রামে সুখদহ নদীতে স্বেচ্ছা শ্রমে নির্মিতব্য সাঁকো নির্মাণে বাঁধা প্রদান করছেন রঞ্জিত নামক এক ব্যক্তি।
এলাকাবাসী অভিযোগ, আমরা ইতিপূর্বে এই সুখদহ নদীর উপর একটি বাশেঁর সাঁকো নির্মাণ করেছিলাম। উক্ত সাঁকো নির্মানে ইত্যাদি থেকে পুরস্কার প্রাপ্ত সাদা মনের মানুষ খ্যাত জাহিদুল ইসলাম আমাদের সহযোগিতা করেছিলেন। পূর্ব করমজা ও পশ্চিম করমজা দুই গ্রামের বাসিন্দাদের নিকট থেকে সাহায্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন পানিতে থাকায় বাঁশের সেতুটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে, দুপারের লোকজন যাতায়াতের সমস্যা সৃষ্টি হয়। পুনরায় দুই গ্রামের লোকজনের নিকট থেকে আবার সাহায্য নিয়ে জাহিদুল ইসলাম এইবার কংকৃটের খুটি পুঁতে পুনরায় একটি সাঁকো নির্মান শুরু করে। সাঁকো নির্মাণ প্রাক্কালে পশ্চিম করমজা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত রাধিকা বাবুর ছেলে রঞ্জিত সাহা বাঁধা প্রদান করেন। এবিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এই পথ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দুইশতাধিক ছাত্র/ছাত্রী এবং দুই গ্রামের দেড় হাজার মানুষ যাতায়াত করে। বর্ষাকালে ছাত্র/ছাত্রী এবং নারী-পুরূষ সকলে যাতায়াত করতে অসুবিধা হয়। এই সাঁকো না থাকার কারনে ৫ মিনিটের পথ ঘুরে অন্যপথে প্রায় ৩০ মিনিট ব্যয় করতে হয়। শুধু তাই নয় এই গ্রামে উৎপাদিত ফসল ঘরে আনতে ১৫০ মিটার পথ প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে বাড়ি আনতে হয়।
সরেজমিনে দেখাযায়, সুখদহ নদীর মাঝে ৬টি কংকৃটের খুটি স্থাপন করা হয়েছে সাঁকো নির্মানের জন্য। কিন্তু সেতু নির্মাণে বাঁধা প্রদানের কারনে কাজের সমাপ্ত হয়নি। পশ্চিম করমজা ও পূর্ব করমজা দুই গ্রামের বাসিন্দাদের পায়ে হেটে পারাপরের জন্য নির্মিতব্য সাঁকো নির্মাণে বাধা প্রদানকারী রঞ্জিতের সাথে কথা বলেল তিনি বলেন, এখানে সাঁকো নির্মাণ করা হলে এলাকায় চোর ও মাদকের কারবার বৃদ্ধি পাবে তাই আমি সাঁকো নির্মান করতে নিষেধ করেছি। উনি আরও বলেন, ঐ গ্রামের (পূর্ব করমজা) লোকদের যদি সেতুর এতই প্রয়োজন হয় তাহলে আরও উত্তরে বা দক্ষিণে সাঁকো নির্মাণ করতে পারে। এখানে আমার জমি আছে তাই আমি সেতুটি নির্মাণ করতে নিষেধ করেছি এবং সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এলাকাবাসীরদের মধ্যে আওয়ামীলীগ নেতা মজনু, মোঃ শহিদুল গোলাম, আইয়ুব হোসেন নান্টু, হেলাল, ফরহাদ, মেহেদী জুয়েল, সাকিম, হাবিব ও আমজাদসহ এলাকার নারী-পুরুষ সকলে জানান, সেতু নির্মাণের ফলে দুই গ্রামের শিক্ষার্থী ও কৃষকসহ সকল বাসিন্দার নদী পারাপার সহজ হবে। আমরা যে রাস্তায় চলালচল করি তা পুরোটাই রেকর্ডের পথ, এই পথ সোজা সাঁকোটি নির্মাণ করা অত্যান্ত জরুরী।
এ ব্যপারে সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসান এর সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উভয় পক্ষ কে বসে সামাজিক শান্তি-শৃংখলা বজায় রেখে সিন্ধান্ত নেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।
Leave a Reply