স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলার দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়মের ফিরিস্তি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরলেন ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম। তিনি আজ বুধবার বিকেলে তার বাড়িতে সাংবাদিকদের ডেকে দিগদাইড় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক টুল্লুর সাথে গত ২৪ ফেব্রæয়ারী যে ঘটনা ঘটেছিল তার বর্ণনা দেন এবং চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড়েও ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যান সহিদুল হক টুল্লু সরকারী বিভিন্ন প্রকল্প ও নানা বিষয়ে সুষ্ঠ বন্ঠন না করে আমার সাথে ও অন্যান্য মেম্বারদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করে আসছে। কিন্তু পরিষদের স্বার্থে আমরা কিছুই বলিনি। গত ২৪ ফেব্রæয়ারী বিকাল ৪টার দিকে সৈয়দ আহম্মদ কলেজ স্টেশনে চা স্টলে চা খাওয়ার সময় চেয়ারম্যান শহিদুল হক টুল্লু তার লোকজন নিয়ে আমার উপর আতর্কিত গালাগালি ও মারমুখি আচরণ করে। এই ঘটনায় পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীদের ভুল বুঝিয়ে আমাকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা করে। এবং লোকমুখে প্রচার করছে আমার সদস্য পদ বাতিল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী এবং ক্ষতিগ্রস্থ করবে। এতে আমার সম্মান হানী হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে মেম্বার রবিউল ইসলাম চেয়ারম্যানের অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরে আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের এক পার্সেন্ট টাকা যার পরিমান ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা সৈয়দ আহম্মদ কলেজ স্টেশনের চয়নিকা দোকান থেকে পুর্ব দিকে আইসক্রিম ফ্যাক্টরীর পাশ দিয়ে রাস্তায় মাটিকাটা কাজের সভাপতি চেয়ারম্যান নিজেই। কিন্তু তিনি সঠিক কাজ করেননি। ইউনিয়ন পরিষদের সকল বরাদ্দের কাজের ১২ পারসেন্ট চেয়ারম্যানকে উৎকোচ হিসেবে দিতে হয়। আমাকে প্রকল্পের সভাপতি বানিয়ে হাছেনের বাড়ি থেকে বুড়িতলা ও বুড়িতলা থেকে পলাশের বাড়ি পর্যন্ত সিসি ঢালাই করেছে যা আমি জানিনা। টিউবয়েল ও পায়খানা নির্মান কাজের সভাপতি বানিয়ে সুষ্ঠ হিসাব না দিয়ে কাজ সমাপ্ত দেখিয়েছেন। এয়াড়াও পরিষদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বললে তিনি রাগান্নিত হয়ে ওঠেন। তার অপকর্মেও তথ্য যেন জনসম্মুক্ষে প্রকাশ না করি সেজন্য কৌশল হিসেবে চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
এবিষয়ে দিগদাইড় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক টুল্লুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুলহক টুল্লু বিএনপি সমর্থিত ও মেম্বার রবিউল ইসলাম বিএনপির একজন সক্রিয় নেতা।