সোনাতলা সংবাদ ডেস্কঃ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ভেলুপাড়ায় স্ত্রীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন একুশে ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত প্রত্নতাত্বিক, গবেষক, সংস্কৃতজন ড. এনামুল হক।
আজ শুক্রবার বাদ জুম্মা ভেলুপাড়া ড. এনামুল হক ডিগ্রী কলেজ মাঠে ৩য় জানাযা শেষে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতীয় যাদুঘরের সামনে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয় তার।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় তার মরদেহ বগুড়া শহীদ খোকন পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ, জেলা আওয়ামী লীগ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে শহরতলী গোকুলে টিএমএসএস’র ড. এনামুল হক আর্ট অ্যান্ড কালচার একাডেমিকে দ্বিতীয় জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। শেষে তার নিজ এলাকা ভেলুরপাড়ায় ড. এনামুল হক ডিগ্রি কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
বগুড়ায় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, বাংলাদেশের জাদুঘর বা পুরাকীর্তির কথা বলতে গেলেই ড. এনামুল হকের নাম উঠে আসে। দেশে প্রত্নতাত্বিক ক্ষেত্রে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের সকলের অগ্রজ তিনি। এ কারণেই ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মশ্রী পদকেও ভূষিত হয়েছেন তিনি। যা শুধু বগুড়া নয়, দেশের জন্য গর্বের।
প্রথিতযশা প্রত্নত্ত্ববিদ ড. এনামুল হক গত ১০ জুলাই বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। এনামুল হক বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ভেলুরপাড়ায় ১৯৩৭ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীতে বসবাস করতেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলের জনক।
Leave a Reply