বগুড়া প্রতিনিধিঃ প্রায়ই রাস্তা দিয়ে হেঁটে বা যানবাহনে চড়ে গেলেই চখে পড়বে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা বিশাল এক বটগাছের তলায় নানান ধরণের উপকরণ নিয়ে পুজা দিচ্ছেন । সে সময়ে ওই এলাকার ছোট ছোট কমলমতি শিশুরা চেয়ে থাকেন কখন এ পুজা শেষ হবে । যদিও ওই গাছের তলায় শুধু পুজাই যে হয় তা না সেখানে অনেকেই মনের আশা পূরণে দেন দু,পাঁচ,দশ টাকার নোট ও কয়েন । পুজারী ও পথচারীদের ওসব খাদ্য সামগ্রী ও টাকা দেওয়ার পর গাছের গা ঘেঁষে ওৎ পেতে থাকা কোমলমতি শিশুরা সেই টাকা নিয়ে দোকান থেকে তাদের পছন্দের খাবার কিনে আনন্দ করে খায় । ঘটনাটি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার দিগদাইর ইউনিয়নের চিল্লিপাড়ায় গ্ৰামের শেষ প্রান্তে বুড়ার দহের উপরে । সেখানে এক বিশাল আকৃতির বটগাছের তলায় বহুকাল থেকে প্রায়দিনই এ পুজা করে চলেছেন এলাকাবাসী ও দুরদুরান্তের আগত হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশেষ করে নারীরা । চিল্লিপাড়া গ্ৰামের অনেক প্রবিন লোকজন প্রতিনিধিকে জানান,বহু বছর অতিবাহিত হলেও আমরা এই বটগাছ টিকে এভাবেই দেখছি তবে আগে শুধু গাছ ছিল কালের গতিতে এখন গাছের লতাগুলোও মাটিতে পড়ে গাছে পরিনত হয়েছে এবং আমরা যতটুকু জানি সেখানে আমাদের ধর্মের মহাদেব ও জ্বিন অবস্থান করার কারনে ওই গাছটির নাম বুড়ার গাছ । আবার কেউ রাতের অন্ধকারে বিপদে পড়ে ওই গাছটিকে উদ্দেশ্য করে বলেন দাদু আমার এই বিপদ থেকে উদ্ধার করে দাও আমরা দেখেছি বা শুনতে পাওয়া যায় সে তার বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে । সেখানে প্রতিদিন কেউ না কেউ এসে ওই বটগাছের নিচে তেল, সিঁদুর,ফুল,ফল ও দুধ দিয়ে গাছটিকে ধুয়ে দিয়ে পুজা দেয় । চিল্লিপাড়া গ্ৰামের শিক্ষক দুলাল রায়,সুকুমার রায়, জানালেন কালের গতিতে আজ ওই বটগাছটি কঠিন হুমকির মুখে এর কারণ হিসেবে তারা বলেন গাছটিকে ঘিরে অনেক অলৌকিক ঘটনাই এলাকায় প্রচার আছে । সেই গাছটির অপরপ্রান্তে গোড়ায় একেবারেই মাটি নেয় বললেই চলে । যেহেতু বিভিন্ন এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এসে মানত পুরনে পুজা দিয়ে যান ।তাই প্রসাশনের কাছে তাদের অনুরোধ যদি সরকারি ভাবে ওই বটগাছের নিচে মাটি ভরাট করে এবং গাছটি সুন্দর করে বেঁধে দেওয়া হয় তাহলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সুন্দর পরিবেশে পুজা অর্চনা করতে পারতো । এ বিষয়ে দিগদাইর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক (টুল্লু) বলেন,আমিও গাছের নিচে পুজা দিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদের দেখেছি তবে এলাকার কেউ কোনো দিন বিষয়টি আমাকে জানায়নি । তিনি আরো বলেন গাছটিকে অবশ্যই আমরা সংরক্ষণের চেষ্টা করবো । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভিকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন,চিল্লিপাড়া এলাকায় এমন সুন্দর বটগাছ আছে আমি আজ আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম তবে অচিরেই হিন্দু সম্প্রদায়ের পুজা অর্চনার ওই বটগাছটিকে সংরক্ষণের সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com