সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলায় স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় ওই ছাত্রীর চাচা মোঃ শামীম হোসেন বাদী হয়ে এক কলেজ ছাত্রকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত যুবক উপজেলার সদর ইউনিয়নের কামালেরপাড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র তাওহিদ হোসেন (২৩)।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার ভাতিজী সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে একই এলাকার তাওহিদ হোসেন (২৩) নামে যুবক স্কুলে যাতায়াতসহ রাস্তা ঘাটে প্রায় সময় প্রেম ভালবাসাসহ কু প্রস্তাব দিয়ে আসে। এমনকি ইফটিজিং মুলক কথাবার্তা বলে থাকে। প্রথম দিকে তার ভাতিজী বিবাদীর এর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। পরবর্তীতে ওই যুবকের অত্যাচার বেশী হলে বিষয়টি তার মাকেসহ চাচাকে অবগত করে। এরপর তারা মেয়ের ভবিষ্যৎ ও মানসম্মানের ভয়ে অভিযোগ না করে মৌখিক ভাবে ওই যুবকে সতর্ক করে এবং তার পরিবারকে অবগত করে। ওই কলেজ ছাত্রের পরিবার তাকে শাসন না করায় দিন দিন তার ইফজিংসহ অত্যাচার আরও বাড়তে থাকে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে আবারও তাদের বসতবাড়ীর আশে পাশে ঘোরা ফেরা করতে দেখতে পায় ওই কলেজ ছাত্রকে। সে ছাত্রীর চাচা শামিমকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর শামিম বিষয়টি যুবকের মা মোছাঃ তহমিনা (৪৫), কে জানানোর পর সে শামিমের উপড় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও অপমান অপদস্ত করে এমনকি ভয়তীতি হুমকি প্রদান করে। এবং ঐদিন দুপুর বেলা একই এলাকার মোঃ নজমল হোসেনের ছেলে মোঃ সামিউল ইসলাম (২৩), মোঃ আফজাল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৪) ও মোকছেদ আলীর ছেলে তানজিদ হোসেন (২৫), বাদীর বাড়ীতে এসে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা গালিগালাজ করিতে নিষেধ করলে প্রতিপক্ষরা চড়াও হয়ে মারপিটের চেষ্টা করে ও ঘরের দরজা ও জানালা ভাংচুর করে ১৫ হাজার টাকার মালামাল ক্ষতি সাধন করে। তাদের চিৎকারে প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও শামিমের ভাতিজিকে রাস্তা ঘাটে যে কোন সময় একা পেলে অপহরণ করাসহ বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করে চলে যায়। শামিম এবং তার ভাতিজি প্রতিপক্ষদের ভয়ে মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করছে।
এঘটনায় শামিম জানান, আমি থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ১৮ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৯ টায় সময় বাড়িতে হামলা করে এবং মৃত এনামুল হকের ছেলে আসিফকে মারপিট করে। এতে আসিফের মাথা ফেটে যায়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এবিষয় থানা অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসান জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলমান রয়েছে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com