সোনাতলা সংবাদ ডটকম ডেস্কঃ বগুড়ার সোনাতলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈদা পারভিনের স্বামীকে মারধরের অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে শামিম হোসেনকে একমাত্র আসামি করে মামলা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে এ মামলা করেন ইউএনওর গাড়িচালক ফেরদৌস হোসেন। তবে এ ঘটনায় আটক আওয়ামী লীগ নেতার নাতি আলিফ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় এবং মামলায় নাম না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনাতলা থানার ওসি সৈকত হাসান।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে তিন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বগুড়া আনসার-ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট শেখ ফিরোজ আহমেদ।
ওসি বলেন, ‘সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিন আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন; তাই তাদের সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
এজাহারে বলা হয়েছে, সাঈদা পারভিনের স্বামী আল আমিন সিকদার কাজল সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে ঢাকায় কর্মরত। ছুটির দিনগুলোয় তিনি সোনাতলায় আসেন। শনিবার বিকেলে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে ব্যাডমিন্টন গ্রাউন্ডে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। এ সময় সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বুলুর ছেলে শামিম হোসেন ও নাতি আলিফ সেখানে দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিলেন। একপর্যায়ে আল আমিন সিকদার কাজলও সেখানে যান।
খেলা শেষ হওয়ার পর তার গাড়িচালকের কাছে শামিম হোসেন সরকারি কর্মকর্তাদের খেলার পারফরম্যান্স নিয়ে কটু মন্তব্য করেন। এর প্রতিবাদ করলে শামিম হোসেন ও তার ছেলে আল আমিন সিকদার কাজলের ওপর চড়াও হন এবং লাঠি দিয়ে মারধর করেন। পরে পুলিশ শামিম হোসেন ও তার ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ইউএনও সাঈদা পারভিন জানান, তার স্বামী এখন বেশ অসুস্থবোধ করছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার বাইরে নেওয়া হবে।
ওসি সৈকত হাসান বলেন, ইউএনওর স্বামীকে মারধরের ঘটনায় শনিবার রাত ১২টার দিকে শামিম হোসেনকে একমাত্র আসামি করে মামলা হয়েছে। শামিমকে আজ রোববার আদালতে পাঠানো হয়েছে।-কালবেলা
Leave a Reply