আব্দুর রাজ্জাক, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলায় বকাটে মাস্তান প্রকৃতির লোকদের গভীর রাতে বাড়িঘরে হামলা লুটপাট ও মারপিটে ৩জন আহত হয়েছে। ৯৯৯ নাম্বার ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিক আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে থানা পুলিশ। ১১ ফ্রেব্রুয়ারী শনিবার রাতে ২.৩০ মিনিটে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুজাইতপুর গ্রামের এ ঘটনা ঘটেছে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হলেন, সজাইতপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেম উদ্দিনের ছেলে শাহআলম, মেয়ে শারমিন আক্তার, মেয়ের দেবর আতিক হাসান। এঘটনায় শাহআলমের বড়ভাই দুলাল মন্ডল ৫জনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্তরা হলেন, সুজাইতপুর গ্রামের মোঃ ছলিম উদ্দিন বেপারীর ছেলে (ইউপি সদস্য) মোঃ আরিফুল ইসলাম (৩২) একই এলাকার মৃত লাল মিয়া বেপারীর ছেলে মোঃ আতোয়ার হোসেন (৩০), মৃত রেজাউল এর ছেলে মোঃ লাবলু বেপারী (২৫), আইজার বেপারীর ছেলে মোঃ সবুজ মিয়া (২৫) ও মোঃ আজাহার আলীর ছেলে মোঃ ফেরদাউস (২৮)। অভিযোগ, গ্রামবাসী ও আহত সুত্রে জানা যায়, শাহআলম মন্ডলের মেয়ের দেবর আতিক হাসান কয়েকদিন যাবৎ তার বাড়িতে বেড়াতে আসে। প্রতিদিনের ন্যায় শাহআলম তার মেয়ের দেবরসহ একই ঘরে খাটে এবং তার দুই মেয়ে মাটিতে বিছানা করে শুয়ে পড়ে। রাত ২.৩০ টার দিয়ে হঠাৎ করে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে মাস্তান প্রকৃতির লোক বাড়িতে হামলা করে। ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে লাঠি দিয়ে তিনজনকে এলোপাতারি মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে আতিক হাসান দৌড়ে দিয়ে বাহিরে অন্য বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে শাহ-আলমের মেয়ে শারমিনকে কাপর ধরে টানা হেচরা করে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ও ঘরে থানা ৪১ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আতিক হাসান যে বাড়িতে আশ্রয় নেয় সেই বাড়িতে গিয়ে আবারও মারপিটের চেষ্টা করে। বাড়িওয়ালা মারপিট করতে নিষেধ করে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে থানা পুলিশের সহযোগীতায় তাদেরকে উদ্ধার করে ওই রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী জানায়, বাড়িতে আত্মীয় স্বজন আসলে সেই বাড়িতে রাতের আধারে হামলা বা ছিনতাই করা মোটেও উচিত হয়নি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আতোয়ার রহমানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কয়েক দিন থেকে শারমিন একটা ছেলেকে নিয়ে ঘোরাফেরা করছে এলাকাবাসী তা খারাপ কিছু সন্দেহে করে রাতে বাড়িতে কোন অসামাজিক করছে কি না তাই দেখতে গেছি। মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের কথা জানতে জাইলে তিনি জানান, আমি মোবাইল ফোন নিয়ে ছিলাম পরবর্তীতে শারমিনের জ্যাঠা মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেয়। অপর দিকে অন্যা অভিযুক্ত মোঃ লাবলু বেপারী , সবুজ মিয়া ও মোঃ ফেরদাউস কে বাড়িতে পাওয়া যায়না।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়কত হাসান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply