আব্দুর রাজ্জাক, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলায় জমিজমা সংক্রান্ত শালিশে চেয়ারম্যান আসার আগে মারপিটে উভয়পক্ষের ১০জন আহত থানায় এক পক্ষের অভিযোগ অন্য পক্ষের মামলা দায়ের হয়েছে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ১৪ জানুয়ারী বেলা ১২টায় ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর গ্রামে। এঘটনায় রাধাকান্তপুর গ্রামের মৃত বাজিতুল্লা প্রাং এর ছেলে মোঃ আজিম প্রাং (৭০), বাদী হয়ে ৯জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের মোঃ দিলবর ফকিরের ছেলে মোঃ জলিল ফকির (৪৫),মোঃ খলিল ফকির (৪০), মোঃ জহুরুল ফকির (৩৮), মোঃ বুদা ফকিরের ছেলে মোঃ আলম ফকির (৬৫), মোঃ জালাল ফকির (৫০), মোঃ জালাল ফকিরের ছেলে মোঃ মনিরুল ইসলাম (২৫), জলিল ফকির, মোঃ বিল্লাল মিয়া (১৯), পশ্চিমতেকানী মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত অফাত মোল্লার ছেলে মোঃ মোকছের আলী মোল্লা (৭০) ও মোঃ মোকছেরের ছেলে মোঃ জিলুর মোল্লা (৩২)সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন।
পূর্ব হতে জমি জমার সীমানা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মনোমালিন্য বিরোধ চলে আসতেছে। ইতি পূর্বে বেশ কয়েকবার ওই জমি সার্ভেয়ার দ্বারা মাপযোগ করা হলেও অভিযুক্তরা তাহা অমান্য করে থাকে। এঘটনায় ১৪ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১১টায় ওই জমিতে সার্ভেয়ার দ্বারা মাপযোগ শুরু করার আগেই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অভিযুক্তরা তাদের হাতে থাকা লাঠি,লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে প্রতিপক্ষের বসতবাড়ীর পশ্চিম পার্শ্বে বাদির জমিতে এসে তাকে উদ্দেশ্যে করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। বাদি আজিম প্রাং গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে প্রতিপক্ষ মোঃ জহুরুল ফকির ও মোকছের আলী মোল্লার নির্দেশে তাদের লোকজনরা হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দ্বারা তাকে এলোপাথারী মারপিট শুরু করে।
বাদীকে রক্ষা করার জন্য তার ছোট ভাই মোঃ আছরব আলী তার ভাগিনা শাহিন ও ভাতিজা জিহাদ, আপেল মাহমুদসহ আরোও কয়েকজন আগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাথাড়ী মারপিট শুরু করে। এতে ভাগিনা শাহিন, মনিরুল, আপেলকে মোঃ ওবাইদুল হক আহত হয়। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকি প্রদান করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে আহতদের পরিবারের লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। এঘটনায় প্রতি পক্ষরা থানায় ইজাহার দায়ের করে। এবিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এক পক্ষের মামলা রুজু করা হয়েছে অন্য এক পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে।
Leave a Reply