সোনাতলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ফুলবাড়িয়া এইচ.এম.ভি দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির লুকোচুরি ও দপ্তরির বিরুদ্ধে থাপ্পর মারার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় গত ২৭জুন সোমবার ফিনি বেগম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও দপ্তরি এমদাদুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে জমা দিয়েছেন। ফিনি বেগম সাঘাটা উপজেলার বগারভিটা গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, ফুলবাড়িয়া এইচএমভি দাখিল মাদ্রাসায় প্রতিষ্ঠানে তার দাদার কিছু অংশ জমি দান করেছেন।
বর্তমানে উক্ত প্রতিষ্ঠানে আয়া পদসহ অন্য আরেকটি পদে লোক নিয়োগ করা হবে মর্মে জানতে পারে সে। তিনি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জাহিদুল
ইসলামের সাথে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বিষয়ে যোগাযোগ করলে, সভাপতি তাকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়টি জানাবেন বলে আশ্বাস দেন।
পরে আবারও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও সভাপতির সাথে যোগাযোগ করলে, তারা বলেন যে, একটি জাতীয় ও দৈনিক আঞ্চলিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে পত্রিকার নাম ও প্রকাশের তারিখ জানতে চাইলে তারা নানা অযুহাতে টালবাহানা করতে থাকে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সুপার। আবেদন করার সময় শেষ হওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষকের মাধ্যমে জানতে পারে পত্রিকা নাম প্রকাশের তারিখ । ১৯ মে-২০২২ইং তারিখে ১৫ দিনের সময় ধায্য করে জাতীয় দৈনিক মানবজমিন ও আঞ্চলিক
উত্তর কোন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মাদ্রাসা নোটিশ বোর্ডে টানানো না থাকায় এলাকার আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করা থেকে বঞ্চিত হয়। এতে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি লুকোচুরি করায় শুধু তাদের পছন্দের প্রার্থীরা আবেদন করতে পেরেছে। গত ২১
জুন -২০২২ ইং তারিখে পুনরায় ওই ফিনি বেগম ও তার মেয়ে নিয়োগ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপারের কাছে জানতে গেলে মাদ্রাসার দপ্তরী এমদাদুল অফিসে প্রবেশে তাদেরকে বাধা দেয়। তিনি
পুনরায় প্রবেশের চেষ্টা করলে দপ্তরি তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় । এসময় তার মেয়ে মোছাঃ জ্যোতি খাতুন প্রতিবাদ করলে তাকেও গালিগালাজ সহ চর থাপ্পর মেরে লাঞ্চিত করে।
ওই সময় মাদ্রাসার সুপার উচ্চস্বরে তাদেরকে বের
হয়ে যেতে বলেন বলে, অভিযোগে উল্লেখ করেছে।
এব্যাপারে দপ্তরি এমদাদুল হক জানায় আমি থাপ্পর মারিনি অফিসে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছি।
এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল হামিদ আকন্দের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ইতিপূর্বে আমার সাথে মৌখিকভাবে নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করেছে মাত্র।
পরবর্তীতে সভাপতি আমাদেরকে না জানিয়ে পত্রিকায় প্রকাশ করেছে। আমি আর কিছু জানিনা।
প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক সদস্য নজরুল ইসলাম বাবলুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে কিছুই জানেন না । প্রতিষ্ঠানের সুপারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন সভাপতি সাহেবের সাথে কথা বলে আপনাদেরকে জানাবো।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ফিনি নামে কোন মহিলাকে আমি চিনিনা মাদ্রাসায় কোন অনিয়ম নাই আমার মাদ্রাসা নিয়ম মাফিক চলে চলবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি দুর্নীতি করে থাকলে যত পারেন লেখেন।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহসান হাবীব জানান, নিয়োগ বিষয়ে মৌখিকভাবে শুনার পর সভাপতিকে ওই বিজ্ঞপ্তি মতে নিয়োগ সম্পন্ন করবো না বলে জানিয়েছি। লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com