বদিউদ-জ্জামান মুকুলঃ বগুড়ার সোনাতলায় মুখমন্ডলে টিউমার বিস্তার লাভ করায় ষাটোর্ধ বৃদ্ধা সাইবেনী এখন দৃষ্টি শক্তি হারাতে বসেছে। সেই সাথে অসহ্য জ্বালা যন্ত্রণায় ওই বৃদ্ধার রাতের ঘুম এখন হারাম হয়েছে।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের উত্তর বয়ড়া গ্রামের নয়া মিয়ার স্ত্রী সাইবেনী বেগম (৬৫) এর মুখমন্ডলে জন্মের পর ৮/৯ বছর বয়সে তার দরিদ্র বাবা-মা ছোট ছোট টিউমার দেখতে পায়। নুন আনতে যে পরিবারে পান্তা ফুরায় সেই পরিবারের পক্ষে টিউমার অপারেশনের অর্থ না থাকায় সাইবেনীর মুখমন্ডলে টিউমারগুলো আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে টিউমারগুলো বড় হয়ে চোখ ও মুখমন্ডলের উপর ঝুলে পড়ে। এতে করে ওই বৃদ্ধার বাম পাশের চোখের দৃষ্টি শক্তি হারায়। বর্তমানে ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। এছাড়াও টিউমারগুলোর বর্তমানে মুখের উপর ঝুলে পড়ায় খাওয়া-দাওয়া করতে বেঘাত ঘটছে। এমনকি সারাদিন কোন রকমে কাটলেও রাতে ওই টিউমারগুলোর জ্বালা যন্ত্রণায় ওই বৃদ্ধার চোখের ঘুম এখন হারাম হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃদ্ধা সাইবেনী জানান, জন্মগত ভাবেই তিনি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। রাক্ষুসী যমুনা নদীগর্ভে তিনবার তাদের বাড়িঘর বিলীন হয়ে যায়। এরপর অতিকষ্টে সোনাতলা উপজেলার সর্জনপাড়া এলাকায় মাত্র ৩ শতক জায়গা জমি কিনে বসতবাড়ি নির্মাণ করে মাথাগোঁজার ঠাই হলেও অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে না পারায় সে এখন দৃষ্টি শক্তি হারাতে বসেছে। তিনি সমাজের বৃত্তবান সহ প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেছেন। এছাড়াও তিনি আরও জানান, জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এসে তিনি অপারেশন করতে রাজি নন। এভাবেই যতদিন সৃষ্টিকর্তা বেঁচে রাখেন সেটাই ভালো।
এ বিষয়ে ডাঃ হুমায়ন কবীর ইমরান জানান, ছোট ছোট টিউমার থেকে ক্যান্সারের উৎপত্তি হয়। যেকোন টিউমার ক্যান্স্যারের পূর্ব লক্ষণ। তাই এ বিষয়ে দ্রæত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের ডাঃ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ আকন্দ জানান, আধুনিক ডিজিটাল যুগে বড় বড় অপারেশন করা সম্ভব। তবে সাইবেনীর বিষয়টি আলাদা। যেহেতু টিউমারগুলো তার চোখ ও মুখমন্ডলে।
Leave a Reply