সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ৪শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় ক্ষেতের ধানগাছ ভাল হলেও সার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। সার ডিলারদের বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাড়িয়েও কৃষকদের প্রয়োজনীয় সার মিলছেনা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় আমণ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮হাজার ৮শত ২০ হেক্টর জমি। সেখানে এবার ৯হাজার ২শত ৫০ হেক্টর জমিতে আমণ ধান রোপন করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে।
কৃষকরা জানিয়েছে, ডিলারদের নিকট ১১শ’ টাকা বস্তা পাওয়া গেলেও খোলা বাজারে তা ১৪-১৫শ’ টাকা বস্তা। লাইনে দাড়িয়ে সারাদিন থেকে অনেক সময় সার পাওয়া যায়না। তাছাড়া অনেক কৃষকের কৃষি কার্ড না থাকায় তারা সার পাচ্ছেন না। খোলা বাজার থেকে বারতি দামে সার কিনে জমিতে দিলে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাবে। তাই ধান চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।
তোফাজ্জল হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেন নামের ২ কৃষক বলেন, তারা প্রায় ৬/৭ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছেন। দুইদিন ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে ঘুরে মাত্র এক বস্তা সার নিতে পেরেছেন। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তারা বলেন, খোলা বাজারে সার দিয়ে বাজার মনিটরিং করলে সারের দাম স্বাভাবিক থাকতো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ আহম্মেদ বলেন, উপজেলায় ১১জন ডিলারের মাধ্যমে সার বিক্রয় করা হচ্ছে। ডিলারদের বিক্রয় কেন্দ্রে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থেকে কৃষকদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে প্রত্যককে ১বস্তা সার বিতরণ করেন। তিনি বলেন, সারের কোনও ঘারতি নেই। আমন ধান চাষে সার নিয়ে কৃষকের দুশ্চিন্তার কোনও কারন নেই।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com