বদিউদ-জ্জামান মুকুল, সোনাতলাঃ বিএনপি-জামায়াত সরকারের শাসনামলে জেল-জুলুম আর চোখ রাঙানোকে কখনও ভয় পায়নি স্বেচ্ছাবেসকলীগ নেতা মাহফুজার রহমান শিপলু। এমনকি রাজপথে লড়াকু সৈনিকের মতো লড়াই সংগ্রাম করে দলীয় হাইকমান্ড এবং উপজেলা নেতৃবৃন্দের নজরে আসে এই নেতা। মাহফুজার রহমান শিপলু এক্ষেত্রে পরিক্ষিত নেতাদের মধ্যে অন্যতম। আসন্ন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রার্থী সে। অন্য সব প্রার্থীর চেয়ে বংশীয় এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সবার চেয়ে শীর্ষে। ব্যবহার ও রাজনৈতিক দূরদর্শীতায় কখনও সে পিছু পা হয়নি। সে ১৯৯৬ সালে স্কুল জীবনে কলেজ ষ্টেশন আঞ্চলিক কমিটিতে ছাত্রলীগে যোগদানের মধ্যে দিয়ে রাজনীতিতে নাম লেখান। ২০০২ সালে জোড়গাছা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সামনে সমস্ত আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দেন। ২০০৬ সালে সোনাতলা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন। তৎকালীন সেনা সমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময় জেল জুলুম ও নির্যাতনের স্বীকার হন। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে সময়ের প্রয়োজনে আবারও স্বেচ্ছাসেবকলীগের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগকে সুসংগঠিত করতে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও পৌর কমিটি গঠন করে স্বেচ্ছাসেবকলীগকে সুসংগঠিত করেন। বর্তমানে তিনি বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নওদাবগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরপর দুইবার সভাপতি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি ইতিমধ্যেই সোনাতলায় কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সরজমিনে সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বললে তারা জানান, আসন্ন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলনে একমাত্র শিপলু ভাইকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই। বিপদে আপদে যাকে পাই, সেই আমাদের শিপলু ভাই।
Leave a Reply