1. sonatalasangbad@gmail.com : সোনাতলা সংবাদ :
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

সোনাতলায় সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় পরিত্যাক্ত ঘোষনাঃ ভাড়া বাসায় চলছে কার্যক্রম

  • রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২
  • ৪৬

বদিউদ-জ্জামান মুকুল, সোনাতলাঃ বগুড়ার সোনাতলায় দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস যাবৎ ভাড়া বাসায় চলছে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যক্রম। অপরদিকে নিজস্ব ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। তবে স্থাণ সংকুলান না হওয়ায় পুরাতন ভবনেই রাখা হয়েছে মূল্যবান কাগজপত্র। সামান্য বৃষ্টিতে ছাদ চুয়ে পানি পড়ে নষ্ট হচ্ছে সরকারি ওই দপ্তরে রাখা দলিলপত্র সহ মূল্যবান কাগজপত্র।
১৯৮১ সালে বগুড়ার সোনাতলায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে সোনাতলায় সাব-রেজিস্ট্রার ভবন নির্মাণ করেন। ভবনটি নির্মাণের মাত্র ৪০ বছরের মাথায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এমনটি সামান্য বৃষ্টিতে ওই ভবনের ছাদ চুয়ে পানি পড়ে দলিল পত্র সহ অফিসের মূল্যবান নথিপত্র ও রেজিস্ট্রার সমূহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকি ছাদের প্লাস্টার খসে খসে লোকজনের মাথায় পড়ে গত ৩/৪ বছরে নারী ও শিশু সহ কমপক্ষে ২ ডজন মানুষ আহত হয়েছে। গত প্রায় ১ বছর পূর্বে পিডবিøউডি ওই সাব-রেজিস্ট্রারের ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেন। এরপর থেকে ওই অফিসের কার্যক্রম উপজেলা সদরের একটি বাসাবাড়িতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যক্রম চলছে।
এ বিষয়ে নবীন আনোয়ার কমরেড সহ ভুক্তভোগিরা জানান, অফিসটি স্থানান্তর হওয়ায় গ্রাম-গঞ্জ থেকে জমি ক্রয় ও বিক্রয় করতে আসা লোকজন সংশ্লিষ্ট অফিস খুঁজে পায় না। এছাড়াও তারা আরও জানান, বর্তমানে অফিসটি এক জায়গায়, আর দলিল লেখকরা বসে অন্য জায়গায়। এছাড়াও ভাড়া বাসা থেকে ব্যাংকের দুরত্ব হওয়ায় প্রতিনিয়ত মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সোনাতলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম মিঠু জানান, বগুড়ার সোনাতলায় প্রায় ৩/৪ শ’ দলিল লেখকের নির্ধারিত বসার স্থান না থাকায় তারা প্রায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এতে করে দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা মানবেতর জীবন যাপন করে যাচ্ছে। তিনি দ্রæত সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে সোনাতলা সাব-রেজিস্ট্রার নুসরাত জাহান জানান, আমাদের নিজস্ব ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষনা করার পর থেকে প্রায় ৩ মাস যাবৎ ভাড়া বাসায় অফিসের কার্যক্রম চলছে। প্রতিমাসে ভাড়া বাসার মালিককে ৩৮ হাজার টাকা দিতে হয়। এতে করে সরকারের অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পরিত্যক্ত ভবনটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ বৃষ্টির পানি পড়ে মূলবান কাগজপত্র ও দলিল পত্র নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজে সর্বশেষ

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট