আব্দুর রাজ্জাকঃ জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুজিব বর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না" মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারাদেশব্যাপি ক শ্রেনীর অর্থাৎ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের পূর্ণবাসনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তারই ধারাবাহিকথায় বগুড়া সোনাতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নামাজ খালী গ্রামে প্রথমে২০ টি ঘর দ্বিতীয়বারে ২৬টি ঘর নির্মাণ করেন। ঘরগুলো মাত্র ৬মাস আগে সুবিধা ভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করেন। ১ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই ঘরগুলো উদ্বোধন করেন।
সরেজমিনে দেখতে পাই ঘরগুলোতে থাকেন মৃত খালেক এর ছেলে আলাল মিয়া, মৃত ইব্রাহিমের স্ত্রী জহুরা বেগম, মৃত হুকুম আলীর স্ত্রী ,
তাদের মধ্যে অনেকে সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, মৃত আসাত জ্জামান বেপারীর স্ত্রী ছালমা বেওয়া জানান, ঘরগুলোর মধ্যে অনেক ঘরের টয়লেটের রিং বসানো আছে পাইপ সংযোগ নাই। আবার অনেক ঘরে রিং বসানো হয়নাই তাতে এমন অবস্থাও বসবাসের উপযোগী নয়। বসবাস করলেও টয়লেট সারতে পারছি না।
বাদশা বেপারীর ছেলে আব্দুল বাকী বলেন 'আমাদেরকে যে ঘর দেওয়া হয়েছে সেগুলোর অনেক কাজ অসম্পন্ন রয়েছে। এমন অবস্থাও বসবাসের উপযোগী নাই।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের পার্শ্ব বাসিন্দা মো. আসাদুলের (৩৮) সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, '৪৬ টি ঘরের মধ্যে অনেক ঘরে মানুষ থাকেন। বাকিগুলো থাকার উপযোগী নয়। ১টি ঘরের কোনো দরজা নেই ঘরের কোন রংকরা নেই প্লাস্টার হয়নি। তা ছাড়া কয়েকটি ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বর্তমান বাসিন্দা স্বামী হারানো বিউটি বেগম বলেন, ঘরগুলো হস্তান্তরের সময় বলা হয়েছিল, যে সমস্যা আছে সেগুলো মেরামত করে দেওয়া হবে। কিন্তু এখনো মেরামত করা হয়নি। এমনকি কেউ দেখতেও আসেনি আমরা কেমন করে আছি। আমদের পানি খাওয়ার জন্য ৫টি টিউবওয়েল দেওয়া হয়। তার মধ্যে ২টি নষ্ট হয়ে গেছে।'
মৃত ইনছারের স্ত্রী রেজিয়া বেগম তিনি বলেন, 'আমরা গরিব মানুষ। সবাই দিনমজুর। আমাদের টাকা থাকলে তো নিজেরাই ঘরগুলো ঠিক করে নিতাম। আমরা অনেক হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমাদের কেউ যদি একটু সাহায্য করে খুবই উপকৃত হই।'
মৃত ইনছারের ছেলে বাদশা বেপারী জানান; ইউএনও বরাবর দেওয়া আবেদনপত্রের একটি কপি দিয়ে বলেন ঘরগুলো নির্মাণের সময় তদারকির দায়িত্বে ছিলেন মুকুল মেম্বার ও সুবাস চন্দ্র।
সাকেক মুকুল মেম্বার এর সাথে মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,, 'আমি ঘরগুলো প্রস্তুত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। কিছু ঘরের সামান্য সমস্যা ছিল এটা আমরা ঠিক করে দিবো।
আশ্রয়ন প্রকল্পের তদারকি দায়িত্বকারী শ্রী সুবাস চন্দ্র বলেন, আমাকে মাত্র বালি ও ইটের দায়িত্ব দিয়েছিল আমি ইট ও বালি দিয়েছি। আমি আর কিছু জানিনা।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈদা পারভীন নিশ্চিত করে জানান, কাজটি সাবেক নির্বাহী অফিসার থাকাকালীন হয়েছে। যারা কাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলো তাদেরকে ডেকে বলেছি আগামী ৭দিনের মধ্যে বাকী কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com