আব্দুর রাজ্জাক, স্টাফ রিপোর্টারঃ সোনাতলা উপজেলার টিএম মেমোরিয়াল একাডেমি স্কুলে ক্লাস বর্জনসহ ২৫ দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। ০৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রের মাথায় বেত্রাঘাত করার কারনে ওই শিক্ষকের অপসারনসহ আরও ২৫ দফা দাবি আদায়ে স্কুল প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
৫ সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবার বিক্ষোভকালে এক ছাত্র বলে, গত মঙ্গলবার নবম শ্রেণীর ছাত্র তাছছিফ হোসেন অর্ণব ৫ম ক্লাস চলাকালে প্রচন্ড মাথা ব্যথার কারনে টেবিলে মাথা ঠেকিয়ে থাকায় গণিতের শিক্ষক মোশাররফ তাকে বেত্রাঘাত করে। তারই প্রেক্ষিতে উক্ত শিক্ষকের অপসারনসহ অন্যান্য অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী অর্ণব বলেন, এর আগেও স্যারেরা ছাত্রদের মেরেছে। আমাকেও ছাড়েনি। অর্ণবের অভিভাবক পল্লব বলেন, আমার ভাতিজার পিতা মারা যাওয়ার পর আমি তাকে লালন-পালন করি। গত মঙ্গলবার তার মাথায় বেত দিয়ে আঘাত করেছে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শাসন করবে ভালো কথা কিন্তু মাথায় আঘাত করার কারনে তার ব্রেণের সমস্যা হতে পারে। শিক্ষকদের এ ধরনের আচরণ পরিহার করা উচিত।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোশাররফ বলেন, ক্লাসরুমে টেবিলে মাথা নিচু করে থাকার কারন জিজ্ঞেস করলে মাথা ব্যথার কথা বলে অর্ণব। তখন আমি বাসায় যাওয়ার পরামর্শ দেই। কিন্তু সে বাসায় যায়না। অন্যানন্যা শিক্ষার্থীরা ক্লাসে হইচই এবং বিশৃংখলা শুরু করলে অর্ণব তাদের সাথেও যোগ দেয় তখন শাসন করতে গেলে মৃদৃভাবে বেত্রাঘাত করি। কিন্তু মাথায় আঘাত লাগার ব্যপারটি সঠিক নয়।
উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনার দিন ছাত্রের অভিভাবক শিক্ষক কে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, অভিমানে সেই শিক্ষক মৌখিক ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ দেখে শিক্ষার্থীদের কাথা শুনি। তাদের ২৫টি দাবির মধ্যে ২২টি দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছি। অবশিষ্ট ৩টি অত্র স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এসে সমাধান করবেন বলে আমি আশাবাদী।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com