আব্দুর রাজ্জাক, স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে দুজন প্রধান শিক্ষক দ্বিধা দ্বন্দ্বে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা মাধ্যমিক উচ্চতর শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে দুই সদস্য কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর হতে ৩ অক্টোবর -২৪, ৩৭.০২.০০০০.১০8.০৯৯.০১৫.২০২৪ নং স্মারকে তদন্ত ও মতামত প্রদানের জন্য দুই সদস্য কমিটি গঠন করেন।
২২ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে সরকারি সোনাতলা মডেল স্কুল ও কলেজে শিক্ষক/ শিক্ষার্থীদের তদন্তে লিখিত ও মৌখিক মতামত নেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর হতে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ (দর্শন) বিভাগের অধ্যাপক মো: আবেদ নোমানী ও একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম।
সেখানে উল্লেখ করেন, সদ্য সরকারিকৃত সরকারি সোনাতলা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক (মূলপদ: সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রশাসনিক) জি.এম. আহসান হাবিব শারীরিক অসুস্থত্যা ও পারিপার্শ্বিক সমস্যাজনিত কারণে ১৫ আগষ্ট ২৪ খ্রি: (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অর্পণ করেন এবং কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক (নন-ক্যাডার) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এরই আলোকে তিনি কলেজের প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যাদি পরিচালনার লক্ষ্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বসহ আর্থিক ক্ষমতা প্রদানের জন্য পাঁচ জন শিক্ষকের তালিকাসহ অধিদপ্তরে আবেদন করেন। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব ও আর্থিক ক্ষমতা প্রদানের পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বভার গ্রহণ এবং প্রেরিত জ্যেষ্ঠতার তালিকা পর্যালোচনা করে গৃহীত করার আবেদন করেন।
এর প্রেক্ষিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর হতে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ (দর্শন) বিভাগের অধ্যাপক মো: আবেদ নোমানী ও একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক : জাহাঙ্গীর আলমকে তদন্তের জন্য নিয়োগ করা হয়।
যাতে করে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বভার ও আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করলে কলেজের শিক্ষক/শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে কোন অসন্তোষ সৃষ্টি হবে কিনা সে বিষয়ে মতামতসহ ০৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান অবসরে যাওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষক জিএম আহসান হাবীবকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন তিনি। এর পর থেকে আহসান হাবীব নির্বিঘ্নে তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী, শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিত থাকায় বিভিন্ন অনিয়ম দেখে পদত্যাগের দাবি তুলে। ১৫ আগষ্ট -২৪ তারিখে এক পর্যায়ে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি।
এরপর থেকে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে রয়েছিলো প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শাহাদুতজ্জামান সাজু।
এ বিষয়ে কলেজ শাখার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শাহাদাতুজ্জামান সাজু বলেন, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে সরকারী ভাবে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হোক এতে করে প্রতিষ্ঠানটি ভালো ভাবে পরিচালিত হবে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিএম আহসান হাবীব বলেন, দ্রুত অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হোক এটা আমি চাই। নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আমি আমার কর্মদক্ষতা দিয়ে সততার সহিত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে শেষ পর্যন্ত থাকতে চাই।
তদন্তে আসা বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ (দর্শন) বিভাগের অধ্যাপক মো: আবেদ নোমানী বলেন, সরকারি সোনাতলা মডেল স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষের দায়িত্বভার জটিলতা নিয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের লিখিত ও মৌখিকভাবে জেনেছি তা প্রতিবেদনে দাখিল করা হবে।
সোনাতলা সংবাদে লিখতে পারেন আপনিও। যে কোনও তথ্য ও ভিডিও দিন নিচের WhatsApp নাম্বারে। প্রয়োজনে আপনার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মোবাইল: ০১৭৭৪৬৫০৬৭১
E-mail: sonatalasangbad@gmail.com