স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার সোনাতলায় বসতবাড়ির জমি নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১৩জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৩১আগস্ট( রবিবার) সকালে উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের উত্তর দিঘলকান্দি গ্রামের মো. রাজু মন্ডল পক্ষ ও মো.মহিদুল ইসলাম শেখ পক্ষের মধ্যে। স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহতররা হলেন-ওই গ্রামের মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে আমিনুল ইসলাম মন্ডল(৫৫), রাজু মন্ডল(৬৫),তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ,আনিছুর রহমান মন্ডল,মৃত নজির উদ্দিন শেখের ছেলে মো.টুকু শেখ(৭০),মৃত কছিম উদ্দিন শেখের ছেলে মহিদুল ইসলাম(৫২),শহিদুল ইসলাম(৪২) ও তার স্ত্রী মনেয়ায়ারা বেগম(৩৮), নজরুল ইসলামের স্ত্রী আইনুর বেগম(৩৫),জুয়েল ইসলামের স্ত্রী মোর্শোদা বেগম(৪২), শহিদুলের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন(১৮) ও মোনাইয়ের ছেলে শামীম হোসেন(৪২)।
আহতদেরকে প্রতিবেশিরা উদ্ধার করে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এদের মধ্যে মো. টুকু শেখ ও আমিনুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন।
জানা যায়,বালুয়া ইউনিয়নের উত্তর দিঘলকান্দি গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিন শেখের বসতবাড়ির ৭ শতাংশ জমি তার দুই ছেলে মহিদুল ও শহিদুল ভাগবাটোয়ার করে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। ওই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের রাজু মন্ডলের পরিবারের সাথে কলহবিবাদ চলে আসছিল। শহিদুল ইসলাম তার পূর্বের টিনের ঘর ভেঙ্গে ইটের ঘর নির্মাণ করার সময় পূর্বের জেরে রবিবার সকালে দুই পরিবারের মধ্যে মারপিট হয়। এতে উভয় পরিবারের ১৩জন আহত হয়।
এ ব্যাপারে রাজু মন্ডল বলেন, নালিশি জমিতে শহিদুল জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণ করতে চাইলে আমরা সেখানে বাধা দিলে তারা আমাদের মারপিট করেছে। এতে আমাদের পক্ষের ৪জন আহত হয়েছে।
মহিদুল ইসলাম বলেন,বাবার মৃত্যুর পর আমরা দুই ভাই ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। আমার ছোট ভাই শহিদুল আগের বাড়ি ভেঙ্গে নতুন করে ইটের বাড়ি নির্মাণ করার সময় রাজু মন্ডল ও তার লোকজন বাধা দেয় এবং বেদম মারপিট করেছে। এতে আমাদের পক্ষের ৯জন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনাতলা থানা এসআই শরিফুল ইসলাম জানান,সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এখনও কোন পক্ষ অভিযোগ দেয়নি।
Leave a Reply