কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ ধর্ষিত শিশুকন্যা আছিয়ার মৃত্যু ও ধর্ষনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সারােেদশে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই বগুড়ার কাহালুতে ৬ বছরের দুই শিশুকন্যার মধ্যে একজনকে ধর্ষন ও আরেকজনকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ ) রাত ১২টায় এঘটনায় কাহালু থানায় একটি মামলা দায়ের পর ঐ দুটি শিশুকন্যাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাটি গত ১২ মার্চ সকালে উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের আড়োলা আবাসন প্রকল্প এলাকায় ঘটলেও বিষয়টি সকলের অজানা ছিল। এক শিশুকন্যা জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ও থানা পুলিশের সরণাপন্ন হওয়ার পর বিষয়টি সকলের নজরে আসে।
মামলা এজাহার ও বাদীর বর্ণনামতে, ঘটনার দিন উল্লিখিত শিশুকন্যাকে বাড়িতে রেখে তাদের পিতা-মাতা কাজে চলে যান। এই সুযোগে একই আবাসনের বাসিন্দা নুরু মিয়া (৪০) টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার ঘরে ডেকে নেয় ভিকটিমদের। ঘরে ডেকে নিয়ে এক শিশুকন্যার পড়নের কাপড় খুলে তাকে ধর্ষন করে এবং একজনকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। শিশুকন্যা চিৎকার দিলে পায়খানায় ফেলে দিয়ে মেরে ভয় দেখিয়ে কাউকে বিষয়টি না বলার জন্য শাসিয়ে দেয়।
এদিকে মৃত্যুর ভয়ে বিষয়টি শিশুকন্যারা তাদের অভিভাবকদের বলেনি। ঘটনার দিন বাড়িতে ফিরে পিতা-মাতা এক শিশুকন্যার মন খারাপ দেখে জিজ্ঞাসা করলেও তারা কিছু বলেনি। রাতে এক স্বপ্নের মধ্যে শিশুকন্যা চিৎকার করলে তার গায়ে হাত দিয়ে দেখে সে জ্বরে কাঁপছে। তাকে জ্বরের ঔষুধ খাইয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারপরেও সে ভয়ে বিষয়টি বলেনি।
পরে শিশুকন্যাকে অভয় দিয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি খুলে বলে একজন শিশুর প্র¯্রাবের রাস্তায় খারাপ কাজ করে এবং আরেক শিশুর সাথে খারাপ কাজ করার চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে আবাসনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে বলার পর ঐ দুজন শিশুকন্যাকে নিয়ে গত ১৪ মার্চ রাতে থানায় এসে একটি মামলা করেন তাদের এক শিশুকন্যার মা।
এই মামলার তদন্তকারী অফিসার কাহালু থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান জানান, ডাক্তারী পরীক্ষা পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিতভাবে বলতে পারবো শিশুকন্যা ধর্ষিত হয়েছে কি-না। এছাড়াও মামলাটি নিয়ে আন্তরিকভাবে তদন্ত করার পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
Leave a Reply