কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার কাহালুতে পাওয়া টাকা না পেয়ে তারাবী নামাজ শেষে কৌশলে একটি পুকুর পাড়ে ডেকে নিয়ে ধারালো বড় একটি হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু রেদুয়ান (১৮) কে হত্যা করে আরেক বন্ধু। গত শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলা পাতাঞ্জ গ্রামে আব্দুল মান্নান নামের পুকুর পাড়ে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানান, এই ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সেখান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় আনা হয়। তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রেদুয়ানের বন্ধু মাদ্রাসা ছাত্র আবুল কাসেম স্বীকার করে তিনি রেদুয়ানকে ১১ হাজার টাকা ধার দিয়ে আদায় করতে পারছেনা। সেই রাগে ধাপের হাট থেকে একটি বড় হাসুয়া কিনে আনে। ঘটনার দিনে পুকুর পাড়ে সেই হাসুয়া রেখে দিয়ে স্থানীয় একটি মাচংয়ে বসে ছিল কাসেম। তারাবী নামাজ পড়ে রেদুয়ান বাড়ি ফেরার পথে ক মোবাইলের সফটাওয়ার ইন্সটল করার কথা বলে কাসেম রেদুয়ানকে আঃ মান্নানের পুকুর পাড়ে ডেকে নিয়ে যায়।
সেখানে রেদুয়ান মাথা হেলে মোবাইল ঘাটাঘাটি করার সময় কাসেম হাসুয়া বের করে রেদুয়ানের গলার পিছনে কয়েকটা কোপ মারে। তারপরে জীবিত থাকায় আবার হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রেদুয়ানের মৃত্যু নিশ্চিত করে সেখান থেকে চলে আসে কাসেম। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে দেওয়ার পর সন্দেহভাজন তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনার পর রেদুয়ান হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ।
নিহত রেদুয়ান পাতাঞ্জ গ্রামের মোঃ মেরাজুলের পুত্র এবং গ্রেফতারকৃত আবুল কাসেম একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের পুত্র। হ্যাকান্ডে ব্যবহার করা হাসুয়া গতকাল শনিবার পুলিশ আবুল কাসেমকে নিয়ে গিয়ে উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় রেদুয়ানের পিতা মোঃ মেরাজুল বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম রেজা জানান, কাসেম রেদুয়ানের কাছ থেকে পাওয়া টাকা আদায় করতে না পেরে সেই ক্ষোভে এই হত্যাকান্ড একাই ঘটিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবই স্বীকার করেছে কাসেম।
Leave a Reply