সোনাতলা সংবাদ ডেস্কঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় ইটভাটার মাটি মিক্সিং করা মেশিনে পরে মুকুল হোসেন শেখ (৪৫) নামে একজন ইটভাটার শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সে ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের চিথুলিয়া উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত সামাদ শেখের ছেলে।
পরে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা কিনে দেয়ার শর্তে নিহতদের পরিবারের সাথে রফাদফা করে ভাটা কর্তৃপক্ষ। ঈদে মেয়ের জামা কিনে দিতে ইট ভাটায় কাজে যোগদান করে এ ঘটনার শিকার হয় মুকুল।
জানা গেছে, উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের বুরোইল গ্রামের এম এল বি নামক একটি অবৈধ ইটভাটায় কাজ করতো শ্রমিক মুকুল। মেয়েকে নতুন জামা কিনে দিতেই তিনি মঙ্গলবার সকালে সেহেরি শেষে ইটভাটার মাটির কাজে যোগ দেন। কাজের এক সময় সকাল ৬ টার দিকে পা পিছলে মুকুল মাটি মিক্সিং করার মেশিনে পরে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এরপর বিষয়টি নিয়ে নিহত মুকুলের গ্রামের জনপ্রতিনিধি এবং অবৈধ ইটভাটার মালিকদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে নিহত মুকুলের ছেলেকে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা কিনে দেয়ার শর্তে বিষয়টির রফা হয়। মুকুল ২ ছেলে এবং ২ মেয়ের জনক ছিলেন।
ওই ইট ভাটায় গিয়ে জানাযায়, ইটভাটার কোনও পরিবেশ ছাড়পত্র নেই, এর দুই পাশে লোকজনের স্থায়ী বসতি রয়েছে এবং ইটভাটার মাটি মিক্সিং করা মেশিনের শ্রমিকদের কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই।
এ বিষয়ে মুকুলের জেঠাতো ভাই ফজলু মিয়া জানান, মুকুল যে মেশিনে নিহত হয়েছে সে মেশিনের কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্হা ছিল না। মুকুলের ছেলে যাতে আয় রোজগার করে সংসারটি চালনা করতে পারে তার জন্য একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা কিনে দেয়ার শর্তে ইটভাটার মালিকের সাথে বিষয়টির রফাদফা হয়েছে।
ইটভাটার মালিক টগর বলেন, মুকুল অসুস্থ ছিল। আমার ইটভাটার যথেষ্ট নিরাপত্তা আছে। নিরাপত্তা না থাকলে তো প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটতো।
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, পরিবারের কোনও অভিযোগ না থাকায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply