আব্দুর রাজ্জাক, স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলায় স্বামী ও সতীনদের নির্যাতনে সীমা বেগম নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়। মৃত সীমা বেগম বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাবিলপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের স্ত্রী। তিনি ৪ সন্তানের জননী।
পরিবারের সদস্যরা বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে কাবিলপুর গ্রামের আশরাফ কাজীর ছেলে জাহাঙ্গীরের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তারা সীমাকে জ্বালাতন করতো। সর্বশেষ এক বছর আগে তাপসীকে বিয়ে করলে নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। গত সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার দিনে দুই দফায় তাপসী ও জাহাঙ্গীর নির্যাতন করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই সবার অজান্তে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন সীমা বেগম।
এ ব্যাপারে মৃত সীমা বেগমের বড় বোন মহসীনা বেগম বলেন, সোমবার বিকেলে আমার বোন সীমা জাহাঙ্গীর আর তাপসী নির্যাতন করেছে বলে আমাকে জানায় এবং তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখায়। পরে আমি তাকে বলি অই বাড়িতে আর জাসনা। কিন্তু সীমা বলে যে সন্তানেরা আছে, আমাকে যেতে হবে। বলে চলে যায়। আর আজকে (মঙ্গলবার) জানতে বিকেলে জানতে পারি আমার বোন গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমরা এর বিচার চাই।
মৃতের মা পারভীন বেগম আহাজারি করতে করতে জানান, ওরা আমার মেয়েকে মেরেই ফেললো। মারা যে গেছে তা পর্যন্ত আমাকে জানানো হয়নি। আমি এর বিচার চাই’।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সুফিয়ান জানায়, এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আজ বুধবার দাফন করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
Leave a Reply