মুহাম্মাদ আবু মুসাঃ অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বগুড়া গাবতলীর মহিষাবান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন ভাতা পেয়েছেন। যদিও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়ে কিছুটা জটিলতার কারনে সকল শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন ভাতা না পাওয়ায় এবার পবিত্র ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানী ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এমন বিষয়ে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম গত ৩০জুন/২৪ উচ্চ আদালতে (হাইকোর্ট) রিট পিটিশন করেন।
এর প্রেক্ষিতে ৩জুলাই/২৪ বিচারপতি নায়মা হায়দার ও জিনাত হক সন্বনয়ে গঠিত ব্র্যঞ্চে শুনানীন্তে মহিষাবান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ছাড় দেয়ার নির্দেশে দেন। রিট পিটিশন (মামলা) পরিচালনাকারী এ্যাডঃ হুমায়ন কবির মঞ্জু উপরোক্ত আদেশ হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড গাবতলী শাখার ব্যবস্থাপক রওশন আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা মানুষকে সেবা করতে দায়িত্বে রয়েছি। আইনগত কিছু জটিলতা থাকায় এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে একটি পত্রের মাধ্যমে বিধি নিষেধ করায় মহিষাবান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ছাড় দেয়া যায়নি। তবে উচ্চ আদালতের আদেশে ৪জুলাই/২৪ বৃহস্পতিবার ওই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ছাড় দেয়া হয়েছে। যা স্ব স্ব শিক্ষক-কর্মচারীদের হিসাব নাম্বারে জমা হয়েছে।
অপর দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুজ্জামান কাজলকে অর্থ আতœসাতের দায়ে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক সাময়িক বরখাস্ত করে সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়ালকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেয়ায় তা নিয়ে কিছু জটিলতার কারনে বেতন-ভাতা উত্তোলন করা যাচ্ছিল না।
যদিও বেতন-ভাতা প্রস্তÍুতকারী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল স্বাক্ষরিত সিটে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক সাইদুজ্জামান কাজলও স্বাক্ষর করেছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ৪জুলাই/২৪ বৃহস্পতিবার আমরা সকল শিক্ষক কর্মচারী বেতন ভাতা পেয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তারিকুল আলম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে আমার জানা নেই। তবে ব্যাংক ম্যানেজার বিষয়টি আমাকে বললে আইনে যা হয় আমি তাই করতে বলেছি।
Leave a Reply