কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার কাহালু উপজেলার দামাই গ্রামে রয়েছে জমিদার শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরীর বাড়ির ধ্বংসাবশেষ। তাঁর আমলের সানবাঁধা পুকুর এখনো কালের সাক্ষ্য বহন করছে। জমিদার শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরীর পালকি বহনকারী বংশের লোকজনসহ অসংখ্য মানুষের বসবাস এই গ্রামে। কালের বিবর্তনে অনেক কিছু মুছে যায়, থাকে শুধু কিছু মানুষের স্মৃতি। তেমনি জমিদার শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরীর একটি স্মৃতিবিজড়িত গ্রামের নাম দামাই। ঐতিহাসিক এই গ্রামে যাওয়ার মেঠোপথে বর্ষাকালে থাকে এক হাটু কাদা-পানিতে একাকার হয়ে থাকে। শুকনো মৌসুমে আবার ধুলাবালিতে এই পথে চলাচল করলে কাপ-চোপড় প্রতিদিনই পরিস্কার করতে হয়।
ঐতিহাসিক গোপালপুরের অধীনে বঙ্গদেশের বিভিন্ন প্রভৃতি জমিদারগণের মূল প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরী। ১১১৩ খ্রিস্টাব্দে বগুড়া জেলার দামাই গ্রামে শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরী গড়ে তুলেছিলেন তাঁর বসতি। এখানে বসতি গড়ে তোলার আগে তিনি কাহালু উপজেলার অন্তর্গত খাজলাল গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। এতিহাসিক দামাই গ্রামে থেকে ’দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের’ ৩টি ৩টি সুবর্ণমুদ্রা আবিস্কৃত হয়েছিল। প্রায় ৭২ শতাংশ জায়গা জুড়ে ছিল জমিদার শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরীর বসতবাড়ি। যেখানে জমিদার শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরী বাড়ির ধ্বংসাবশেষ ও স্মৃতি বিজড়িত পুকুর রয়েছে সেখানে যাওয়ার জন্য হাসান জুটমিল থেকে একটি মেঠোপথ রয়েছে।
কাহালু-দরগাহাট সড়ক থেকে সোজা পূর্বদিকে এই মেঠোপথ দিয়ে শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরীর স্মৃতি বিজড়িত দামাই গ্রামে যাওয়ার একমাত্র পথ। বর্তমান সরকারের আমলে সড়কের আমলে ছোট-বড় প্রায় অধিকাংশ সড়কই পাকাকরণ হয়েছে। অথচ ঐতিহাসিক এই দামাই গ্রামে যাওয়ার রাস্তা এখনো পাকাকরণ হয়নি। বর্ষাকালে হাসান জুটলি থেকে দামাই গ্রাম পর্যন্ত পুরো রাস্তায় এক হাঁটু কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায় এই মেঠোপথ।
দামাই গ্রামবাসী জানান, আমাদের এই রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায় বর্ষা মৌসুম কিম্বা খরা মৌসুম সবসময় দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। বর্ষা মৌসুমে স্কুল-কলেজ গ্রামী শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ খুবই দুর্ভোগে পড়েন। পায়ে হেঁটে যেতেও অনেকটা সমস্যায় পড়তে হয়। তারা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন এই ঐতিহাসিক গ্রামের রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য।
Leave a Reply