গোলাম রব্বানী শিপনঃ বগুড়া সদরের ঠেঙ্গামারা ছাত্রীনিবাসে নিজের পছন্দের ছেলের সাথে বিয়ে না দেয়ায় বাবা- মা’র উপর অভিমান করে মনের ক্ষোভে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নার্সিং কলেজ ছাত্রীর আত্মাহত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় বগুড়া সদরের ঠেঙ্গামারা এমএম ছাত্রীনিবাসের ৩য় তলায় এ ঘটনাটি ঘটে। ওই কলেজ ছাত্রীর নাম নাইমা হাসান নুপুর (২০)।
তার গ্রামের বাড়ী দিনাজপুর নবাবগঞ্জ উপজেলার গোপালগঞ্জ ইউনিয়নের পত্নীচাঁন গ্রামে। সে ওই গ্রামের হাসান আলীর কন্যা বলে জানা গেছে। হাসান আলী সে জয়পুরহাটে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
সরেজমিনে গিয়ে- নিহতের পিতা হাসান আলীর সাথে বললে তিনি জানান, মেয়ে নাইমা হাসান নুপুর বগুড়ার ঠেঙ্গামারা টিএমএসএসের প্রথমবর্ষে নার্সিং কলেজে ভর্তি হয়। গত ২ মাস হলো সে ঠেঙ্গামারা এমএম ছাত্রীনিবাসে ৩য় তলায় একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন।
এরই মাঝে নুপুর কোন এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ নিয়ে নুপুর তার পরিবারের সাথে কথা বললে তারা বিষয়টি মেনে নেইনি। নাইমা হাসান নুপুরের পিতা হাসান আলী বলেন, গতকাল রাত ৯টায় নুপুরের সাথে মোবাইল ফোনে শেষ কথা হয়।
এ বিষয়ে এমএম ছাত্রীনিবাসের ব্যবস্থাপক আব্দুল হালিম তালুকদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, নাইম হাসান নুপুর খুব ভালো এবং চঞ্চল প্রাকৃতির মেয়ে ছিলেন। আমার মা আজ মারা গেছেন। সকালে নুপুর সেই মরদেহ দেখেও গেলেন। বেলা ১২টায় সে স্বাভাবিক ভাবেই চলাফেরা খাওয়া দাওয়া শেষে সে রুমে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করেন।
দুপুর পৌনে ১টায় মহিলা পরিছন্নকর্মী রুম পরিস্কার করার জন্য নুপুরের দরজায় ডাকা ডাকি করেন। এতে তার সাড়াশব্দ না পেয়ে জানাজা দিয়ে উঁকি দিয়ে নুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নুপুরের বান্ধবী বলেন, নুপুরের একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে৷ গত ২ দিন হলো নুপুর খুবই টেনশনবোধ করেছে। আমার ধারনা ওই ছেলের সাথে ঝগড়া বিবাদের কোন ঘটনা ঘটেছে। নিহতের রুম থেকে বেশ কিছু চিরকুট সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
বগুড়া সদর ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ী পরিদর্শক রেদওয়ানুর রহিম জানান, সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply