স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলায় জমিজমাসংক্রান্ত জেরে প্রতিপক্ষের গাছের সাথে শত্রুতা চালানোর অভিযোগ উঠেছে । জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ফলজ ও বনজ গাছ কর্তন করার অভিযোগ তুলেছে বীরমুক্তিযোদ্ধার ছেলে খায়রুল ইসলাম। ২৪ জুলাই বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রানীরপাড়া গ্রামে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা কছিম উদ্দিন বেপারীর ছেলে খায়রুল ইসলাম ৩ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের রানীরপাড়া গ্রামে খায়রুল ইসলাম বেপারীর সাথে তার চাচা ছবেদ আলী বেপারীর জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কলহ-বিবাদ চলে আসছিল।
২৪ জুলাই খায়রুলের ভোগ দখলিয় জমি ছবেদ আলী ও তার লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক দখল করে বিভিন্ন জাতের গাছের চারা লাগান। এ সময় খায়রুল বাধা প্রদান করলে ছবেদ আলী ও তার লোকজন রাগান্বিত হয়ে খায়রুল ইসলামের বাড়ির অনেকগুলো ফলদ ও বনজ গাছ কেটে ফেলেন। এতেকরে খায়রু ইসলামের প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
অভিযোগকারী খায়রুল বলেন, আমার বাবা বেঁচে থাকা অবস্থায় গ্রামের মাতামুরুব্বীরা বসে মৌখিকভাবে জমিজমা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছিলেন। সেখানে ছবেদ আলীর ভাগের নামাজখালি মৌজার দেড় শতাংশ জমি আমার বাবাকে মৌখিক ভাবে দিয়ে দেয়। সেই জমি বাঙালী নদী গর্ভে চলে যায়। দীর্ঘদিন পর এসে অন্য জমিতে এসে দখল করার চেষ্টা করছে এবং বাড়িতে লাগলো গাছগুলো সব কেটে ফেলছে।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষের ছবেদ আলীর পরিবার বলেন, রানীরপাড়া মৌজায় বাঙালী নদীর তীরঘেষা জমিতে লাগানো কাঠজাতীয় গাছের চারা খায়রুল ইসলাম জোরপুর্বক উপরে ফেলে। তখন আমার স্বামী রাগের মাথায় কয়েকটি গাছ কর্তন করেছে।
থানায় অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ বাবু কুমার সাহা বলেন, তদন্তে সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply