আব্দুর রাজ্জাক, স্টাফ রিপোর্টারঃ মাদ্রাসায় না গিয়েও ১৬ বছর ধরে বেতন নিচ্ছেন বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সৈয়দ আহমেদ মডেল আলিম মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখার সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম। সিরাজুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়মিত ভাবে প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসা করেন।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২ অক্টোবর সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন ক্লাস না চালিয়ে প্রতিমাসে বেতন তুলছেন আর নাম মাত্র সম্মানী দিয়ে তার জায়গায় চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে দিয়ে ক্লাস পরিচালনা করে আসছে। শুধু তাই নয়, মূলত শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিকে তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে নিজের খেয়াল খুশি মতো চলেন। এ ছাড়াও মাদ্রাসায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আছে যা সবকিছুই শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম দেখেন।
এলাকাবাসীর অনেকেই বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের মামলা ও কলেজ হাটের দেখাশোনা কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় পান না। ক্লাস নিবে কি ভাবে। এ সব বিষয়ে বলতে গেলে এলাকায় থাকা দুষ্কর হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, সপ্তাহে একদিন গরু হাট বসে মাদ্রাসা মাঠে। সেদিন দুপুর ১২ টায় ছুটি ছুটি হয়ে যায় মাদ্রাসা।
এ বিষয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক ওই শিক্ষকের পরিবর্তে ক্লাস পরিচালনার কথা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে সৈয়দ আহমেদ মডেল আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মোমিনের বলেন, মেম্বার রবিউল যে অভিযোগ তুলেছেন তা সঠিক নয়। আসলে ওই শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের কাজেই বগুড়া যাওয়া আসা করতে হয়। তাই মাঝে মধ্যে ক্লাস মিস হয়। সপ্তাহের বেশি সময়ে বগুড়া যেতে দেখা যায় এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন তিনি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের মামলার জন্য ও কলেজে গরু হাটের যাবতীয় কাজের পিছনে সময় দিতে হয়। এর জন্য আমরা চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষক দিয়ে ক্লাস পরিচালনা করি। যাতে কোনও খাটতি না থাকে।
Leave a Reply