সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ১০২ জন মুক্তিযোদ্ধাকে তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষে প্রমাণ হাজির করতে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। জামুকা’র সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-২) মোঃ হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে তথ্য প্রমাণসহ তাদের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এতো বিরাট সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধাকে এই চিঠি দেওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে চিঠি পাওয়া ‘মুক্তিযোদ্ধারা’ বলছেন, একটি কুচক্রী মহল তাদেরকে সমাজের চোখে হেয় করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ কাজ করিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের- ৪৮.০২.০০০০.০০১.০০.১৩০.২০২৫-২৬৪ নং স্মারকে এই চিঠি দেয় জামুকা। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘আপনার বিরুদ্ধে আপনি মুক্তিযোদ্ধা নন মর্মে একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণসহ আপনার লিখিত জবাব আগামী ১৮-০৫-২০২৫ তারিখের মধ্যে (পরবর্তীতে দুই দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে) আবশ্যিকভাবে মহাপরিচালক, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, কাকরাইল, ঢাকা বরাবর প্রেরণ/দাখিল করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।”
এদিকে এতো বিরাট সংখ্যক ‘মুক্তিযোদ্ধাকে’ চিঠি দেওয়ায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। চিঠি পাওয়া অনেক ‘মুক্তিযোদ্ধা’দের বিষয়ে এলাকাবাসীর আগে থেকেই সন্দেহ রয়েছে তারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা কিনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার দাবি, চিঠি পাওয়াদের মধ্যে অনেকে প্রকৃতপক্ষেই মুক্তিযোদ্ধা না। এসময় তারা সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের বাছাই করার দাবি জানান।
তবে চিঠি পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, একটি কুচক্রী মহল তাদেরকে সমাজের চোখে সম্মানহানি করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ কাজ করিয়েছে। তাদের এ উদ্দেশ্য সফল হবে না বলেও দাবি করেন তারা। চিঠি পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের একজন মোঃ শাহাজুল ইসলাম গাজী।
তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, কানুপুর গ্রামের মকবুল হোসেন, রানীর পাড়ার সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজনের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আমাদের এই চিঠি ইস্যু করেছে। এসময় তিনি তার কাছে মুক্তিযোদ্ধার সঠিক কাগজ-পত্রাদি ও সনদ আছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, সোনাতলা উপজেলায় মোট মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন ৫২৫ জন। এর মধ্যে ১০২ জনকে এই চিঠি দেওয়া হলো।
Leave a Reply