সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ছয় বস্তা সরকারি বই চুরির ঘটনায় অবশেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সোমবার বগুড়ার জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা সোনাতলা সংবাদ এ সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ইন চার্জ মোঃ আব্দুল হাই তিন জনকে অভিযুক্ত করে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কানুপুর গ্রামের মোঃ আইয়ুব আলীর পুত্র মোঃ মোনারুল ইসলাম মোনাই, আগুনিয়াতাইড় গ্রামের কাছির আলীর পুত্র ভ্যান চালক আশিকুর রহমান কাফি, খানপাড়া গ্রামের ভাঙরির দোকানী মুনজু খান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জুন রাত প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মোনাই (৩৫) স্কুলের ষ্টোর রুম থেকে ২০২৫ সালের বিভিন্ন শ্রেণীর নতুন ৬ বস্তা বই এবং ১টি বড় ডিজিটাল ওজন মেশিন চুরি করে ভ্যান যোগে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথে পৌর এলাকায় রংধনু মার্কেটের সামনে গেলে পথচারীদের সন্দেহ হয়।
এসময় ভ্যানটি আটকিয়ে তারা ভ্যান চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় এর মধ্যে বই আছে। ৩০০ টাকা ভাড়ায় গার্লস স্কুল থেকে এখানে নিয়ে এসেছি। এরপর পথচারীরা তাকে আটক করে ভ্যানসহ স্কুলের সামনে নিয়ে আসে। এসময় উক্ত নৈশ প্রহরী মোনাই এসে স্বীকার করে যে, বইগুলো সে চুরি করেছে। এক পর্যায়ে মোবাইলে কথা বলতে বলতে নৈশ্য প্রহরী মোনাই দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আটককৃত ভ্যান ও ৭ বস্তা বই ও একটি ডিজিটাল ওজন মেশিন থানায় নেয়া হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভ্যান চালককে ছেড়ে দেওয়া হলেও নৈশ্য প্রহরীর বিরুদ্ধে এতোদিন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছিল না। এ নিয়ে সোমবার বগুড়ার জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা সোনাতলা সংবাদ এ ‘সোনাতলায় বিদ্যালয় থেকে ৭ বস্তা বই চুরি, দুই সপ্তাহ পেড়িয়ে গেলেও মামলা হয়নি’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। তার পরদিনই বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ দায়ের করা হলো।
সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিলাদুন নবী বলেন, ‘‘সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সরকারি বই চুরির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Leave a Reply